রবীন্দ্রভবন, উপাসনা গৃহ, গৌরপ্রাঙ্গণ–সহ নানা জায়গায় বসেছে নতুন শ্বেতপাথরের ফলক। সেই ফলক নিয়েই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। সেখানে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নাম থাকলেও নেই কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম। আজ টুইট করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (ANI Photo)
ফলক বিতর্ক এখনও অব্যাহত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। সম্প্রতি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজে’র স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। সেখানে আচার্য হিসাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নাম এবং উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নাম জ্বলজ্বল করছে ফলকে। অথচ যাঁর এই বিশাল সৃষ্টি দেখে ইউনেস্কো তকমা দিল সেই বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামই রাখেননি উপাচার্য বলে অভিযোগ। এই ঘটনা নিয়ে বড় বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিশ্বভারতীর অধ্যাপকদের সংগঠন সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে বিষয়টি জানিয়েছেন। আর আজ, লক্ষ্মীপুজোর দিন কেন্দ্রীয় সরকারকে কড়া বার্তা দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে রবীন্দ্রভবন, উপাসনা গৃহ, গৌরপ্রাঙ্গণ–সহ নানা জায়গায় বসেছে নতুন শ্বেতপাথরের ফলক। আর সেই ফলক নিয়েই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। কারণ সেখানে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নাম থাকলেও নেই স্বয়ং কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম। এই নিয়ে আন্দোলনে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিশ্বভারতীর বাইরে অবস্থান বিক্ষোভ করেছেন তাঁরা। গোটা বাংলায় এই ঘটনায় ছিঃ ছিঃ রব উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে আজ টুইট করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অন্যদিকে এই কাজ ঐতিহ্যের পরিপন্থী বলে লিখেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। আর এই বিষয়টি নিয়েই সোচ্চার হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতন একটি বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান। কিন্তু সেখানে এখনকার প্রাতিষ্ঠানিক কর্তৃপক্ষ যে স্মারক ফলক সাজিয়েছে, সেখানে উপচার্যের নাম দেখা গেলেও কবিগুরুর নাম দেখা যাচ্ছে না। এতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে অপমান করা হয়েছে। অবিলম্বে এই অহংকারী ফলক সরিয়ে কবিগুরুকে প্রাপ্য সম্মান দেওয়া হোক।’ এই টুইটে কেন্দ্রীয় সরকারকে অবিলম্বে পদক্ষেপ করতে বলেছেন তিনি।
এই আবহে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর কৈফিয়ত তলব করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাতে আরও তেতে উঠেছে সার্বিক পরিস্থিতি। দু’দিন আগেই বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শান্তিনিকেতন থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম তুলে দিল। যদি ওই ফলক না তোলে, তাহলে পরের দিন সকাল ১০টা থেকে আমাদের লোকেরা রবীন্দ্রনাথের ছবি নিয়ে বসবে।’ সেটা করাও হয়েছে। কিন্তু উপাচার্যের চৈতন্য কিছুতেই হয়নি বলে অভিযোগ করছেন অধ্যাপকরা। এটা আসলে ব্যক্তিগত বিজ্ঞাপন বলে তাঁরা মন্তব্য করেছেন।