অষ্টমীর দিনটা রাজনীতির মঞ্চ নয়, পারিবারিক আবহেই কাটালেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতা সুকান্ত মজুমদার। মঙ্গলবার সকালেই স্ত্রী ও দুই কন্যাকে নিয়ে বালুরঘাটের দক্ষিণ খাদিমপুর শঙ্কর স্মৃতি মন্দিরে পৌঁছন তিনি। মণ্ডপে প্রবেশের পর আর রাজনৈতিক নেতা সুকান্ত নন, একেবারে পাড়ার মানুষ অঞ্জলি দিলেন, স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বললেন, এমনকি অনুরোধে বহুজনের সঙ্গে সেলফিও তুললেন। আর সেখান থেকেই সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো নিয়ে কলকাতা পুলিশকে তীব্র কটাক্ষ করলেন।
আরও পড়ুন: ভারতীয় সেনার বীরগাথা! BJP নেতার উদ্যোগে জেলার পুজো মণ্ডপেও ‘অপারেশন সিঁদুর’
এদিন শুধু এক জায়গাতেই নয়, একদিনে একাধিক মণ্ডপে পুজো দিতে দেখা যায় তাঁকে। খাদিমপুর মন্দিরে অঞ্জলি দেওয়ার পর সোজা চলে যান দিপালী নগরের মৈত্রী চক্র ক্লাবে। যদিও বর্তমানে তিনি দিপালী নগরে থাকেন, তবু পুরনো এলাকা খাদিমপুরের টান ছাড়েননি। প্রতি বছরই সেখানে উপস্থিত হন। এবছরও তার ব্যতিক্রম হল না। পুজোর আবহের মাঝেই সুকান্তর কণ্ঠে উঠে আসে সাম্প্রতিক কলকাতার দুর্ঘটনার কথা। গত সপ্তাহে টানা বৃষ্টিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শহর ও শহরতলি মিলিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১১ জন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এমন দুর্যোগ থেকে মুক্তি প্রয়োজন। মায়ের কাছে ভরসা রয়েছে, সব দুর্গতিনাশ করবেন তিনি।
তবে এদিন শুধুই পুজোর মেজাজে আটকে থাকেননি তিনি। সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যার পুজো ঘিরে পুলিশ ও কমিটির মধ্যে যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে, সে প্রসঙ্গও টেনে আনেন। তাঁর অভিযোগ, তিনি নিজে গিয়েছিলেন সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারে। পুলিশ যা করছে, সবই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। যেখানে মানুষ ৭০০ মিটার হাঁটলেই পৌঁছতে পারত মণ্ডপে, সেখানে তাঁদের প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার ঘুরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সপরিবারে পুজো দেওয়ার পাশাপাশি অষ্টমীর দিনেই সুকান্ত মজুমদারের মুখে শোনা গেল একদিকে আস্থা, অন্যদিকে ক্ষোভের সুর।