আজ, রবিবার তৃণমূল কংগ্রেসের ‘জনগর্জন সভা’ ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে। আর এই সমাবেশ উপলক্ষ্যে ইতিমধ্যেই ব্যাপক ভিড় দেখা দিয়েছে। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মুড়ে ফেলা হয়েছে ব্রিগেড। এই আবহে আজ তৃণমূল কংগ্রেসের ব্রিগেড সমাবেশে যোগ দিতে ওয়াশিং মেশিন সঙ্গে নিয়ে সল্টলেক থেকে রওনা দিলেন কর্মী–সমর্থকরা। এটা অত্যন্ত অভিনব পদক্ষেপ। আগে এমন ওয়াশিং মেশিন নিয়ে রাজনৈতিক সমাবেশে রওনা হওয়ার ঘটনা ঘটেনি। বিধাননগর কর্পোরেশনের ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আলো দত্তের নেতৃত্বেই মিছিল করে ব্রিগেডের উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন তাঁরা।
এদিকে ব্রিগেডের জনগর্জন সভার জেরে যেমন ট্র্যাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে তেমনই নিরাপত্তাও আঁটোসাঁটো করা হয়েছে। বিশাল সংখ্যক পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এমনকী ব্রিগেড গ্রাউন্ডে প্রবেশ করতে গেলে হচ্ছে সিকিউরিটি চেক। প্রায় ৫৪টি ব্লক আছে এখানে। সেই ব্লকের প্রত্যেকটি এন্ট্রি পয়েন্টে চলছে চেকিং। মোট ২০টি গেট আছে ব্রিগেডে প্রবেশের জন্য। সেই গেটের সামনেও চলছে তল্লাশি। মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে আসা প্রত্যেক কর্মী–সমর্থকের চেকিং চলছে। আজ রবিবার হাইভোল্টেজ এবং হাইটেক সভায় নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে। অভিযোগ, বাংলার প্রতি কেন্দ্রীয় বঞ্চনা। একাধিক প্রকল্পের টাকা আটকে রাখার অভিযোগ। তারই প্রতিবাদে রবিবার তৃণমূল কংগ্রেসের ব্রিগেড সমাবেশ। যার প্রধান বক্তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: কড়া পুলিশি প্রহরায় বসিরহাট আদালতে শাহজাহান, সিবিআই–রাজ্য পুলিশ হেফাজত চাইবে
অন্যদিকে এই সমাবেশে অংশ নিতে বিধাননগরের ৩৮ নম্বরের ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আলো দত্তের নেতৃত্বে রবিবার সকালে ব্রিগেডের উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন কর্মী–সমর্থকরা। তাঁদের সঙ্গে রয়েছে একটি বড় ওয়াশিং মেশিন। এই বিষয়ে ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি নির্মল দত্তের দাবি, ‘তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব বারবারই বলেছে বিজেপিতে গেলেই তাদের সব দোষ ওয়াশিং মেশিনে ধুয়ে পরিষ্কার হয়ে যায়। আর তাই প্রতীকী হিসেবেই ওয়াশিং মেশিন সঙ্গে নিয়েই ব্রিগেডের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া হয়েছে।’ আবার এখানকার মহিলারা ‘লক্ষীর ভাণ্ডার’ হাতে নিয়েই রওনা দিলেন ব্রিগেডের উদ্দেশ্যে।