এবারের দুর্গাপুজোয় সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে থিম হতে চলেছে ‘অপারেশন সিঁদুর’। রবিবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই থিমের ঘোষণা করেন পুজোর প্রধান উদ্যোক্তা তথা বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ। থিম প্রকাশের পর থেকেই শুরু হয়েছে জোর আলোচনা। স্বাভাবিকভাবেই যে এমন থিম দর্শনার্থীদের টানতে চলেছে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। আর এর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই উদ্যোক্তাদের পুলিশের পাঠানো বিধিনিষেধের চিঠি ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। বিজেপি নেতার কটাক্ষ, ‘সিঁদুরেই অ্যালার্জি রয়েছে তৃণমূলের।’
আরও পড়ুন: ভারত-পাক সশস্ত্র সংঘাতের বছর ২০২৫এ মা দুর্গার আগমন, গমন কীসে? কোন ইঙ্গিত লুকিয়ে!
চিঠিতে প্যান্ডেলে ভিড় সামলাতে বাড়তি স্বেচ্ছাসেবক রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, স্টল বসানো-সহ একাধিক বিষয়ে নিয়ম মানার কথা বলা হয়েছে। এই নিয়মবিধিকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানউতোরও শুরু হয়েছে। সজল ঘোষের অভিযোগ, থিমে সিঁদুর থাকাতেই সরকারের অস্বস্তি। তাই এই নিষেধাজ্ঞা। পুলিশ যা যা বলছে মানতে গেলে তো পুজোই করা যাবে না। তাঁর কটাক্ষ, পুলিশ যেভাবে বিধিনিষেধের কথা বলছে. তাতে মনে হচ্ছে হয় কলকাতায় শুধু একটাই পুজো হয় অথবা সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোতেই সবচেয়ে বেশি ভিড় হয়। এই চিঠি অন্য কোনও বড় পুজোর উদ্যোক্তাদের কাছে যায়নি বলেই দাবি করেছেন সজল ঘোষ।
তবে সজলের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র তন্ময় ঘোষ। তিনি জানান, পুলিশ তাদের পুজো বন্ধ করতে বলেনি। ভিড় বেশি হলে তো বিজেপিই বলবে প্রশাসন ব্যর্থ। এখন যদি কিছু নিয়ম মানতে বলা হয়, তাতে ক্ষোভের কী আছে? বরং এতে তো তাদের খুশি হওয়া উচিত যে পুজোতে অনেক লোক হয়।
উল্লেখ্য, সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো বরাবরই থিম ও আয়োজনের জন্য নজর কাড়ে। প্রতি বছর ভিড়ও থাকে চোখে পড়ার মতো। সেইসঙ্গে বিতর্কও নতুন নয়। একবার প্যান্ডেলে ঢোকা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে হয়েছিল দর্শনার্থীদের জন্য। এবার ‘অপারেশন সিঁদুর’ থিম নিয়ে পুলিশের চিঠিকে ঘিরে বিতর্কে ফের একবার শিরোনামে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার।