স্থায়ী উপাচার্য না থাকার জন্যই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্ম সমিতির বৈঠকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। উচ্চ শিক্ষা দফতর একই ভাবে গত ৪ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়কে কর্ম সমিতির বৈঠক করায় অনুমতি দেয়নি। যার ফলে সে ক্ষেত্রে কর্ম সমিতির বৈঠক স্থগিত রাখতে হয়েছিল।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (ফাইল ছবি)
আবারও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্ম সমিতির বৈঠকে অনুমতি দিল না উচ্চশিক্ষা দফতর। আজ শুক্রবার সমাবর্তন অনুষ্ঠানের জন্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্ম সমিতির বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। সেইমতো উচ্চ শিক্ষা দফতরের কাছে আগেই আবেদন জানিয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু, সেই বৈঠকে অনুমতি দিল না উচ্চশিক্ষা দফতর। এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই সমাবর্তন অনুষ্ঠান নিয়ে আজ কর্ম সমিতির বৈঠক করার বিষয়ে বিপাকে পড়ল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে সমাবর্তন অনুষ্ঠানের ভবিষ্যৎ নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
উচ্চ শিক্ষা দফতরের বক্তব্য অনুযায়ী, স্থায়ী উপাচার্য না থাকার জন্যই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্ম সমিতির বৈঠকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। উচ্চ শিক্ষা দফতর একই ভাবে গত ৪ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়কে কর্মসমিতির বৈঠক করায় অনুমতি দেয়নি। যার ফলে সে ক্ষেত্রে কর্ম সমিতির বৈঠক স্থগিত রাখতে হয়েছিল। তবে ফের কর্মসমিতির বৈঠকে অনুমতি না দেওয়ায় বিরক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। জানা গিয়েছে, মোট ৪ টি ধাপে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। প্রথম ধাপে বিশ্ববিদ্যালয় ডিএনদের কমিটি সাম্মানিক ডিগ্রি প্রাপকদের নাম সুপারিশ করে। দ্বিতীয় ধাপে ডিলিট এবং ডিএসসি ডিগ্রি দেওয়ার জন্য তিনজন বিশিষ্টি ব্যক্তির নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়। তৃতীয় ধাপে কোর্ট এবং রাজ্যপালের সম্মতিতে সমাবর্তন অনুষ্ঠান হয়। সে ক্ষেত্রে কর্ম সমিতির বৈঠকে এই সমস্ত সিদ্ধান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে থাকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কর্ম সমিতির বৈঠক না হওয়ায় সমাবর্তন অনুষ্ঠানের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।