‘যৌনকর্মী’ মন্তব্য নিয়ে এবার বিপাকে পড়লেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তাঁর বিরুদ্ধে এবার দায়ের হল অভিযোগ। এক যৌনকর্মী বড়তলা থানায় সুকান্তর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সুকান্তের বিরুদ্ধে এফআইআরও দায়ের করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: রাস্তাতেই দেখা করলেন প্রতিবাদী চিকিৎসক, সুকান্তকে গাড়িতে তুলে লালবাজারে পুলিশ
ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার। সেদিন ভবানীপুরে বিজেপি নেতাকে আটকায় পুলিশ। সেখানেই এক পর্যায়ে কর্তব্যরত পুলিশদের উদ্দেশে সুকান্ত কটাক্ষ করতে গিয়ে যৌনকর্মীদের প্রসঙ্গ টানেন। পুলিশকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘আপনারা আইনটাকে সোনাগাছির যৌনকর্মীতে পরিণত করেছেন!’ এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করেই শুরু হয় তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক। তৃণমূল কংগ্রেস এই মন্তব্যকে অশালীন এবং অবমাননাকর বলেই দাবি করেছে। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, জীবনের সঙ্গে লড়ে পেট চালান যৌনকর্মীরা। তাঁদের সম্মান করেন না বলেই সুকান্ত এমন কুরুচিকর কথা বলতে পেরেছেন। রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজাও সুকান্ত মজুমদারকে তীব্র আক্রমণ করেন। তিনি সরাসরি বলেন, সুকান্তকে ক্ষমা চাইতেই হবে। এই ভাষা ব্যবহার করার কোনও অধিকার সুকান্তর নেই।
এদিকে, নিজের বক্তব্য থেকে একচুলও সরতে নারাজ সুকান্ত মজুমদার। রবিবার সকালে তিনি বলেন, তিনি কোনও ব্যক্তি বা কারও পরিবারকে টার্গেট করেননি। তিনি রাজ্যের পুলিশের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি আরও বলেন, সোনাগাছির মহিলাদেরও কিছু নীতি আছে। রাজ্যের পুলিশের সেটুকুও নেই। সুকান্তের দাবি, তাঁর মন্তব্যের পেছনে কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই। বরং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার তাঁকে ভয় পাচ্ছে বলেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই বিতর্ক তৈরি করছে। তাঁর বক্তব্য, অনুব্রত মণ্ডলের দুর্নীতি ঢাকতেই এই নাটক করছে তৃণমূল। তবে প্রতিবাদ থেমে নেই অন্য দিক থেকেও। যৌনকর্মীরা নিজেরাও এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে সোমবার বিকেল ৪টেয় সোনাগাছির শীতলা মন্দিরের কাছে এক প্রতিবাদী জমায়েতের ডাক দিয়েছেন। ঘটনার পর থেকে রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে।