পূর্ব মেদিনীপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা ও ব্লক স্তরের সাংগঠনিক রদবদল শেষ হয়েছে। জেলার নতুন সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সম্পাদকদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি যুব, মহিলা ও শ্রমিক শাখার জেলা ও ব্লক পদাধিকারীদের তালিকাও প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু এই তালিকায় দুটি গুরুত্বপূর্ণ ব্লক নন্দীগ্রাম-১ এবং নন্দীগ্রাম-২ বাকি রাখা হয়েছে। তাহলে কি নন্দীগ্রামে বিশেষ কিছু পরিকল্পনা করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়? তাই নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।
আরও পড়ুন: পুজোর সময় বজায় রাখতে হবে শান্তি, বাড়াতে হবে জনসংযোগ, নেতাদের নির্দেশ অভিষেকের
জানা যাচ্ছে, এই দুটি ব্লকের পদাধিকারীদের নাম এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি। সূত্রের খবর, নন্দীগ্রাম নিয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীকে সঙ্গে নিয়ে তিনি ইতিমধ্যেই তমলুকে স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এবং নন্দীগ্রামের দু’টি ব্লকের সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণভাবে অভিষেকের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, মে মাসে জেলা সভাপতির পদে অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্থলে সুজিতকুমার রায় এবং জেলা চেয়ারম্যান পদে চিত্ত মাইতির স্থলে দীপেন্দ্রনারায়ণ রায়কে নিয়োগ করা হয়েছিল। এবার মূল জেলা কমিটির পাশাপাশি ব্লক ও শহরের সভাপতি ও সহ-সভাপতি পদগুলিও সাজানো হয়েছে। তবে নন্দীগ্রামের দুই ব্লকের ক্ষেত্রে পদাধিকারী চূড়ান্ত করতে পুজোর পর পৃথক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
তৃণমূল সূত্রের মতে, নন্দীগ্রামের বিষয়টি অভিশেষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরাসরি নিজের তত্ত্বাবধানে রাখছেন। এখানে সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, কারণ নন্দীগ্রাম পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। ব্লক ও শাখার পদাধিকারীদের চূড়ান্ত করার পরেই জেলার পুরো সাংগঠনিক কাঠামো নতুনভাবে কার্যকর হবে। নতুন সাংগঠনিক পরিবর্তনের ফলে জেলার রাজনৈতিক মানচিত্রে প্রভাব পড়বে কি না, সেটি পুজোর পরে স্পষ্ট হবে। নন্দীগ্রামের দু’টি ব্লকের বিষয়ে বিশেষ নজর রাখায় জোর জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনীতিতে।