বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে নিজেদের গাড়িতে তুলে নিয়ে গেল পুলিশ। ভবানীপুরে চিকিৎসক রজত শুভ্র বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন সুকান্ত মজুমদার। সেখানেই বাধা পান সুকান্ত। এরপর চিকিৎসক রজত শুভ্র বন্দ্যোপাধ্য়ায় নিজে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে রাস্তায় সুকান্তর সঙ্গে দেখা করেন। এসবের মধ্য়েই পুলিশ সুকান্ত মজুমদারকে নিজেদের গাড়িতে তুলে নেয়। গোটা ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।
প্রসঙ্গত গত ২৮ মার্চ লন্ডনের কেলগ কলেজে মুখ্য়মন্ত্রীর সামনে বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগ উঠেছিল চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে। আর এবার শুক্রবার সেই প্রতিবাদী চিকিৎসক রজতশুভ্র বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল সুকান্ত মজুমদারের।
তবে সেই প্রতিবাদী চিকিৎসকের বাড়িতে যাওয়ার আগেই আটকানো হয় সুকান্তকে। ফলে গাড়িতেই বসেছিলেন সুকান্ত মজুমদার। এরপর ওই চিকিৎসকের দাবি, দুপুর ১টা থেকে তিনি মিষ্টি জল নিয়ে অপেক্ষা করছেন বাড়িতে। এরপর খবর পান পুলিশ সুকান্ত মজুমদারকে আসতে দিচ্ছে না। এরপর নিজেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন চিকিৎসক রজতশ্রুভ্র।
তিনি ভবানীপুরের বাড়ি থেকে বেরিয়েই বলেন, সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে সৌজন্য় সাক্ষাতের কথা ছিল। সেই মতো দুপুর থেকে অপেক্ষা করছিলাম বাড়িতে। মা অসুস্থ। মা অপেক্ষা করছিলেন।
তিনি বলেন, আমার মা অপেক্ষা করছেন সেই ১২টা থেকে। তিনি বলেন, মেডিক্যাল কাউন্সিল থেকে যে চিঠি দিয়েছে তার কোনও জবাব দেব না। আমি সম্পূর্ণ সময় বাড়িতেই ছিলাম। আমি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে দেখা করার জন্য় অপেক্ষা করছিলাম। কিন্তু তাঁকে আসতে দেওয়া হচ্ছিল না। সেকারণে নিজেই চলে এলাম।
এরপরই নাটকীয় মোড়। কথা বলার কিছুক্ষণ পরেই সময়ই সুকান্ত মজুমদারকে গাড়িতে তুলে নেয় পুলিশ। এরপর বিজেপি কর্মীরা বাধা দেয় পুলিশের গাড়িকে। একাধিকজন পুলিশের গাড়ির সামনে বসে পড়েন। পুলিশ এরপর কার্যত তাদের জোর করে সরিয়ে দিয়ে সুকান্ত মজুমদারকে গাড়িতে তুলে রওনা দেয়।
এদিকে সূত্রের খবর, চিকিৎসককেও একই গাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। সামগ্রিক পরিস্থিতিতে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।
সুকান্ত বলেন, হিটলারের আমলেও এমন কাজ করা হত না। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় যা করছেন। আমাকে ও চিকিৎসক রজতশুভ্র বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে আটক করে লালবাজারে নিয়ে আসছে।
তৃণমূলের তরফে জয়প্রকাশ মজুমদার সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, পুলিশ আটকালে তা শোনা উচিত। পুলিশ যদি বলে এখানে যাবেন না, এটা তো নাগরিক কর্তব্য। এটা তো শোনা উচিত। আর উনি তো জাল ডাক্তার শোনা যাচ্ছে।