বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে চাকরি হারিয়েছেন ২৬ হাজার জন। রায় শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন চাকরিহারারা। অথচ সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর কেক কেটে সেলিব্রেশন করার অভিযোগ উঠল একটি স্কুলের কয়েকজন সহকর্মীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি আলিপুরদুয়ারের পাঁচকেলগুড়ি প্রমোদিনী হাইস্কুলের। অভিযোগ উঠেছে, রায়ের পর এই স্কুলের দুই শিক্ষকের চাকরি গিয়েছে। সেই খবর শুনে কেক কেটে সেলিব্রেশন করেছেন কয়েকজন সহকর্মী।যার মধ্যে রয়েছেন বামপন্থী শিক্ষক সংগঠন এবিটিএর জেলা সম্পাদক জয়ন্ত সাহা। এমন অভিযোগকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে আলিপুরদুয়ারে। তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠনের তরফে এমনই অভিযোগ তোলা হয়েছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জয়ন্ত সাহা। (আরও পড়ুন: ওয়াকফ সংশোধনী আইনের সমর্থন করায় BJP-র সংখ্যালঘু নেতার বাড়িতে আগুন লাগানো হল)
আরও পড়ুন: চাকরিহারাদের সঙ্গে মমতার বৈঠক ভেস্তে দিতে ‘চক্রান্ত’ শুরু? কারা কারা থাকতে পারেন
জানা গিয়েছে, ওই স্কুলের ভৌত বিজ্ঞানের দুই শিক্ষকের চাকরি গিয়েছে। তাঁদের নাম হল লাবলু মিয়াঁ ও অসীমকুমার পণ্ডিত। সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শিক্ষক লাবলু কেক কাটার খবর শুনে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি জানান, রায়ের দিন তিনি বাড়িতে ছিলেন। এক সহকর্মীর কাছ থেকে তিনি জানতে পারেন, তাঁদের চাকরি চলে যাওয়ার পর স্কুলে কেক কেটে উল্লাস করা হয়েছে। এমন খবর শুনে হতবাক হয়ে যান শিক্ষক। কেউ যে এরকমটা করতে পারে তা তিনিই ভাবতেই পারছেন না। যদিও অপর শিক্ষক এই বিষয়ে কিছু শোনেননি বলে জানিয়েছেন। তবে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কেক কাটার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, রায়ের পর দুপুরে স্কুলে কেক কাটা হয়েছিল। কয়েকজন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। তবে কেন কাটা হয়েছিল তা তিনি জানেন না। (আরও পড়ুন: মোদীর 'কড়া বার্তায়' বদল বাংলাদেশে? ঢাকায় বের হল রামনবমীর বিশাল শোভাযাত্রা)
আরও পড়ুন: পার্কসার্কাসে রামভক্তদের গাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগ বিজেপির, কলকাতা পুলিশ বলল…
তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠন পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি’র অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরেই দুই শিক্ষকের চাকরি যাওয়ার কারণে এবিটিএর সদস্যরা কেক কেটে উল্লাস করেন । জয়ন্ত সাহা এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জয়ন্ত সাহা। তিনি জানিয়েছেন, এরকম কিছুই হয়নি। এটা নিয়ে শুধু শুধু রাজনীতি করা হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, চাকরি হারানোর জন্য কেক কাটা হয়নি, আসলে এদিন এক শিক্ষকের জন্মদিন ছিল। সেই কারণে কেক কাটা হয়েছিল। রায় ঘোষণার এক ঘণ্টা আগে কেক কাটা হয়েছিল বলে তিনি জানান। এ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হতেই বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) আশানুল করিম। এমন ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি।