উচ্চমাধ্যমিকের প্রথম দিনের পরীক্ষায় দেখা দিল একাধিক সমস্যা। নতুন পদ্ধতিতে ওএমআর শিট ব্যবহারের নিয়ম বারবার বোঝানো হলেও পরীক্ষার্থীদের বিপাকে পড়তে হয়েছে। কোথাও শিট পাল্টাতে সময় লেগেছে, কোথাও প্রশ্নপত্র পৌঁছতে দেরি হয়েছে। ফলে একেবারে নির্বিঘ্নভাবে শুরু হল না এবারের প্রথম পর্বের পরীক্ষা।
আরও পড়ুন: উচ্চমাধ্যমিকে প্রথমবার ওএমআর শিটে পরীক্ষা, ফলপ্রকাশের আগেই জানা যাবে নম্বর
সকালে পরীক্ষা শুরু হতেই অভিযোগ জমতে থাকে কলকাতার একাধিক কেন্দ্র থেকে। পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, শেষ মুহূর্তে প্রস্তুতি নিতে হয়েছে, এমনকি সময় মতো বই পাওয়া যায়নি। কিছু পড়ুয়া জানিয়েছে, সেমেস্টারের বই হাতে এসেছে মাত্র দু’মাস আগে। অনলাইনে বইয়ের কপি ডাউনলোড করা সম্ভব হলেও তা নিয়ে স্কুল বা সংসদের পক্ষ থেকে কোনও বার্তা দেওয়া হয়নি।অভিভাবকরাও ক্ষোভ উগরে দেন। পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শনে এসে সংসদের সভাপতি চিরঞ্জিৎ ভট্টাচার্য ও সচিবকে ঘিরে ধরে তাঁরা জানান, পাঠ্যবই সময় মতো হাতে না আসায় সন্তানদের পড়াশোনার ক্ষতি হয়েছে। অভিভাবক শ্যামলী লোধের অভিযোগ, পরীক্ষার দুই মাস আগে বই পেলে কী করে সঠিকভাবে প্রস্তুতি নেবে ছাত্রছাত্রীরা? অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে সংসদ সভাপতি বলেন, সময় মতো বই ছাপিয়ে পাঠানো হয়েছিল পুস্তক সংসদে। বিলম্ব ঘটেছে জেলার স্তরে। তাঁর দাবি, চতুর্থ সেমেস্টারের বই ইতিমধ্যেই পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এবার আর এমন সমস্যা হবে না।
শুধু বই নয়, প্রশ্নপত্র পৌঁছনো নিয়েও ওঠে প্রশ্ন। একাধিক জেলা পরিদর্শকের বক্তব্য, প্রশ্নপত্র পাঠাতে সংসদের কিছুটা সময় লেগেছে। কারণ, এ বছর প্রতিটি কেন্দ্রে আলাদা প্যাকেজের সঙ্গে দুটি সেট প্রশ্নপত্র ও ওএমআর শিট পাঠাতে হয়েছে। তবে সংসদের দাবি, পরীক্ষার আগেই সব কেন্দ্রে প্রশ্ন পৌঁছে দেওয়া গিয়েছিল।
পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের সময় পরীক্ষার্থীদের দেহে তল্লাশি চালানো হয়েছে। এ বছর প্রশ্নপত্রের নিরাপত্তায় আরও কঠোর হয়েছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। জানানো হয়েছে, পরীক্ষার হলে কোনও রকম ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না।
উল্লেখ্য, এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন প্রায় ৬ লক্ষ ৬০ হাজার পরীক্ষার্থী। ৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২২ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টা থেকে ১১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত পরীক্ষা চলবে। মিউজিক, ভিস্যুয়াল আর্টস ও বৃত্তিমূলক বিষয়ে পরীক্ষা হবে সকাল ১০টা থেকে ১০টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত।