মালঞ্চ এলাকায় খানাকুল থানার পুলিশ ফাঁড়ি রয়েছে। তার পাশেই রয়েছে একটি প্রাথমিক স্কুল ওই প্রাথমিক স্কুলে মহিলার নাবালক ছেলে পড়াশোনা করে। ওই ফাঁড়িতে কর্তব্যরত ছিলেন অভিযুক্ত সাব ইন্সপেক্টর তুষার মণ্ডল। তার হাতে একটি সোনার ব্রেসলেট ছিল।
মহিলাকে মারধর করার অভিযোগ।
সন্দেহের বশে এক মহিলাকে বাড়ি থেকে ফাঁড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করলেন সাব ইন্সপেক্টর। পুলিশের মারধরে কার্যত অচেতন হয়ে পড়েন মহিলা। শেষে তাকে পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে ভর্তি করেন। বিষয়টি জানাজানি হতেই স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক এবং পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এনিয়ে অভিযোগ পাওয়ার পরেই ওই সাব-ইন্সপেক্টরকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে খানাকুলের চিংড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মালঞ্চ এলাকায়।
জানা যাচ্ছে, মালঞ্চ এলাকায় খানাকুল থানার পুলিশ ফাঁড়ি রয়েছে। তার পাশেই রয়েছে একটি প্রাথমিক স্কুল ওই প্রাথমিক স্কুলে মহিলার নাবালক ছেলে পড়াশোনা করে। ওই ফাঁড়িতে কর্তব্যরত ছিলেন অভিযুক্ত সাব ইন্সপেক্টর তুষার মণ্ডল। তার হাতে একটি সোনার ব্রেসলেট ছিল। তবে সেই ব্রেসলেটটি কোনওভাবে হাত থেকে খুলে পড়ে যায়। পরে তিনি যখন বুঝতে পারেন তখন অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও ব্রেসলেটের কোনও সন্ধান পাননি। এরপর সাব ইন্সপেক্টরের সন্দেহ হয় মহিলার নাবালক ছেলেই সেটি কুড়িয়ে পেয়েছে। তাই সোনার ব্রেসলেট খুঁজে পেতে মহিলাকে ফাঁড়িতে তুলে নিয়ে যান সাব ইন্সপেক্টর।সেখানে মহিলাকে প্রায় ১১ ঘণ্টা ধরে আটকে রাখেন সাব ইন্সপেক্টর।
তার প্রশ্নের জবাবে মহিলা বার বার এ বিষয়ে জানেন না বলেই উত্তর দিচ্ছিলেন। তখন মহিলার উপর অত্যাচার বাড়তে শুরু হয়। চলে মানসিক এবং শারীরিক অত্যাচার। বেধড়ক মারধর করার পর অবশেষে মহিলাকে বাড়ি পৌঁছে দেন সাব ইন্সপেক্টর। সেই সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে চুপ থাকার জন্য তাকে ১ হাজার টাকা দেন। কিন্তু, পুলিশের অত্যাচারে বাড়ি ফেরার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন মহিলা। রাতেই তাকে খানাকুল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় আরামবাগের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে। তখন পুরো বিষয়টি জানাজানি হয়।