পানাগড়কাণ্ডে সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের গাড়ি দুর্ঘটনার পরই পালিয়ে গিয়েছিলেন অন্য সাদা গাড়িতে থাকা যাত্রীরা। তাঁদের মধ্যে গাড়ির চালক বাবলু যাদবকে দুর্ঘটনার ৪ দিন পর গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। আজ তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়। সেই সময় সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের মুখে পড়ে বাবলু জানালেন, কেন তিনি পালিয়ে গিয়েছিলেন। ধৃতের বক্তব্য, 'ভয় পেয়ে পালিয়ে গিয়েছিলাম।' এর আগে আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের ডিসিপি অভিষেক গুপ্ত দাবি করেছেন, পুলিশের তদন্ত প্রায় শেষের পথে। আবার পানাগড়কাণ্ডে মৃত সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের গাড়িতে থাকা ৪ সঙ্গী বুধবার দুর্গাপুর আদালতে গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন। (আরও পড়ুন: শেষ পর্যন্ত কি সত্যি হল আশঙ্কা? EPFO-র সুদের হার চূড়ান্ত করল বোর্ড)
আরও পড়ুন: তুষারধসে আটকে পড়লেন BRO-র ৫৭ শ্রমিক, উদ্ধারকাজে নামল সেনা এবং ITBP
আরও পড়ুন: দ্বিধায় ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর ইঞ্জিনিয়াররা, হাওড়া-সল্টলেক পরিষেবা চালু হতে পারে…
উল্লেখ্য, এর আগে এই ঘটনায় ইভটিজিংয়ের অভিযোগ উঠলেও তা উড়িয়ে দিয়েছিল পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ দেখিয়ে পুলিশের দাবি ছিল, নিহত তরুণীর গাড়িই অন্য গাড়িতে তাড়া করেছিল। অবশ্য এই ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয়দের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এদিকে ২৫ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে অভিযুক্ত বাবলু যাদবকে ধরে পুলিশ। (আরও পড়ুন: টানা দ্বিতীয় দিন দাম কমল সোনার, আজ কলকাতায় কততে বিকোচ্ছে হলুদ ধাতু?)
আরও পড়ুন: ৪৬ নং রুটে বন্ধ থাকল বাস, কী ঝামেলার জেরে রাস্তায় গড়াল না চাকা?
আরও পড়ুন: ইউনুসের ব্যর্থতা উসকে বিতর্কের আগুন জ্বালেন সেনা প্রধান, তাতে ঘি ঢাললেন উপদেষ্টা
প্রসঙ্গত, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে পানাগড়ে পুরনো জিটি রোডে বুদবুদ থানা এলাকায় পেট্রোল পাম্পে দাঁড়িয়েছিল সুতন্দ্রাদের গাড়িটি। সেখান থেকে তেল ভরিয়ে পানাগড়ের দিকে যাচ্ছিল সুতন্দ্রাদের গাড়িটি। তাদের সামনে ছিল সেই অন্য সাদা গাড়িটি। রিপোর্ট অনুযায়ী, পানাগড়ে ঢোকার মুখে সাদা গাড়িটি বাঁ দিকের ইন্ডিকেটর দেয়। জিটি রোডে ওঠার জন্যে সাদা গাড়িটি ইন্ডিকেটর দেওয়ার পরে সেটিকে ওভারটেক করতে যায় তরুণীর গাড়ি। সেই সময় দুই গাড়িতে ঘলা লেগেছিল। তরুণীর গাড়ির একটি চাকা তখন ডিভাইডারে গিয়ে ধাক্কা মারে। (আরও পড়ুন: নিম্নমুখী সেনসেক্সে পকেট ফুটো বিনিয়োগকারীদের, 'হাওয়া' ৭ লাখ কোটির বেশি)
আরও পড়ুন: 'বিহারিদের সিভিক সেন্স নেই' বলে সাসপেন্ড শিক্ষক,বলেছিলেন- 'কলকাতা পছন্দ করে না…'
সেই ঘটনার পরে সাদা গাড়িটি সেখানে না থেমে সোজা এগিয়ে যায়। আর তারপরই সেটির পিছন পিছন ছুটতে দেখা যায় সুতন্দ্রার গাড়িটিকে। পুলিশের দাবি, একটা সময় সাদা গাড়িটিকে ওভারটেক করে সুতন্দ্রাদের গাড়ি রাস্তা আটকে দাঁড়িয়েছিল। তবে সাদা গাড়িটি পাশ কাটিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিল। তখন ফের সুতন্দ্রাদের গাড়ি পিছু নেয় সেই সাদা গাড়ির। সেই সময়েই একটি শৌচাগারে গিয়ে ধাক্কা দেয় তরুণীর নীল গাড়িটি। এতে যুবকদের সাদা গাড়িটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সাদা গাড়িতে থাকা পাঁচ যুবক পালিয়ে যান সেখান থেকে। তরুণীর দুই সঙ্গীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, দু'জন থানাতেই ছিলেন। তরুণীর দেহ পাঠানো হয় হাসপাতালে। ২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে সুতন্দ্রার সাথীরা অভিযোগ করেন, মত্ত যুবকদের দৌরাত্ম্যেই তাঁদের গাড়ি উল্টে গিয়েছিল। পরে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে তরুণীর ৪ সঙ্গীকে ফের জেরা করেছিল পুলিশ। আর বুধবার সেই চারজনই আদালতে গোপন জবানবন্দি দেন।