উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায় তুষারধসে অন্তত ৫৭ জন আটকে পড়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তুষারধসের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার রাস্তাও বন্ধ রয়েছে। বরফে আটকে পড়া ৫৭ জনই নির্মাণ শ্রমিক বলে জানা গিয়েছে। আইটিবিপি এবং সেনাবাহিনী মানা গ্রামে উদ্ধার অভিযানে নিয়োজিত রয়েছে। এদিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। রিপোর্ট অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই ১০ জনের বেশি উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁদের অবস্থা খুবই গুরুতর। তবে এখনও প্রায় ৪০ জনের বেশি নিখোঁজ। (আরও পড়ুন: গরম বাড়তে চলেছে, কলকাতার আকাশে দেখা দেবে মেঘ, বাংলার কোথায় হবে বৃষ্টি?)
আরও পড়ুন: ইউনুসের ব্যর্থতা উসকে দেন সেনা প্রধান, তাতে এবার ঘি ঢাললেন সরকারেরই উপদেষ্টা
জানা গিয়েছে, আটকে পড়া শ্রমিকরা বর্ডার রোড অর্গনাইজেশনের দ্বারা নিযুক্ত ছিলেন। যেই এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে সেটি ভারত-চিন সীমান্তের কাছে। সেখানেই রাস্তা নির্মাণের কাজে নিযুক্ত ছিলেন সেই শ্রমিকরা। তবে খারাপ আবহাওয়ার কারণে তুষারধস নামে সেখানে। আর এর জেরে এখন তাঁরা আটকে পড়েছেন সেখানে। সীমান্তে মোতায়েন থাকা সেনা এবং ইন্দো-তিব্বত বর্ডার পুলিশের জওয়ানরা সেই আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। (আরও পড়ুন: নিম্নমুখী সেনসেক্সে পকেট ফুটো বিনিয়োগকারীদের, 'হাওয়া' ৭ লাখ কোটির বেশি)
আরও পড়ুন: টানা দ্বিতীয় দিন দাম কমল সোনার, আজ কলকাতায় কততে বিকোচ্ছে হলুদ ধাতু?
এর আগে ২০২৩ সালের শেষ লগ্নে উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে টানেলে ধস নেমে আটকে পড়েছিলেন ৪১ জন শ্রমিক। বাংলারও বেশ কয়েকজন ছিলেন সেখানে। সেই শ্রমিকদের নিরাপদে টানেল বের করে আনা হয়েছিল ব়্যাট হোল মাইনারদের সাহায্যে। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ১২ নভেম্বর বাংলার ৩ সহ মোট ৪১ জন শ্রমিক সিল্কিয়ারা এবং দন্ডলগাওঁয়ের মাঝে নির্মীয়মাণ টানেলে আটকে পড়েছিলেন। টানেলের সামনের দিক থেকে ভিতরের দিকে প্রায় ১৫০ মিটার জমি ধসে পড়ে ওপর থেকে। অগার মেশিনের সাহায্যে গর্ত করে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারের চেষ্টা হলেও তা বিফলে যায়। (আরও পড়ুন: শেষ পর্যন্ত কি সত্যি হল আশঙ্কা? EPFO-র সুদের হার চূড়ান্ত করল বোর্ড)
শেষ পর্যন্ত শুরু হয় ব়্যাট হোল মাইনিং। হাতেই সুড়ঙ্গ কেটে পৌঁছে যাওয়া হয় সেই ৪১ শ্রমিকের কাছে। এই ব়্যাট মাইনিং আপাতত বেআইনি। নিরাপত্তার কারণেই এটাকে নিষিদ্ধ করেছে সরকার। তবে সেদিন সেই ৪১ শ্রমিককে বাঁচাতে এই নিষিদ্ধ উপায়ের সাহায্যই নিতে হয়েছিল। তার আগে ১৭ দিন ধরে ওই জায়গায় আটকে ছিলেন ৪১ জন।