বিহারের মানুষদের কোনও সিভিক সেন্স নেই। এমনই দাবি করে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের প্রোবেশনারি প্রাথমিক শিক্ষক। রিপোর্ট অনুযায়ী, সেই শিক্ষককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এনডিটিভির প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, সাসপেন্ড হওয়া শিক্ষকের নাম দিপালী শাহ। তিনি পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা বলে দাবি করা হয়েছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে। জানা গিয়েছে, বিহার নিয়ে দিপালীর ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পরে তা নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় সংগঠনের কমিশনারকে চিঠি লেখেন সমস্তিপুরের সাংসদ সম্ভবামী। এরপরই সাসপেন্ড করা হয় দিপালীকে। তিনি বিহারের জেহানাবাদে নিযুক্ত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। (আরও পড়ুন: ৪৬ নং রুটে বন্ধ থাকল বাস, কী ঝামেলার জেরে রাস্তায় গড়াল না চাকা?)
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নতুন দলের নাম চূড়ান্ত, মাথায় সেই নাহিদ, সারজিস-হাসনাতরা কোন পদে?
আরও পড়ুন: খিদে বাড়ল চিনের, পদ্মার ইলিশ নিয়ে 'চিন্তা' বাড়বে এপার বাংলার খাদ্যরসিকদের?
ভাইরাল ভিডিয়োতে দিপালীকে বলতে শোনা যায়, বিহার হল ভারতের সবচেয়ে খারাপঅঞ্চল। সেখানকার লোকেগের কোনও সিভিক সেন্স নেই। যদিও ভাইরাল সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করতে পারেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। তবে ভিডিয়োতে সেই শিক্ষককে বলতে শোনা যায়, 'কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের অনেকগুলি অঞ্চল রয়েছে। মানুষ কলকাতা অঞ্চল পছন্দ করে না। তবে আমি সেখানে যেতেও রাজি ছিলাম। বাংলায় আমার কোথাও সমস্যা হত না। আমার এক বন্ধু দার্জিলিঙে নিযুক্ত হয়েছে। অন্য এক বন্ধু শিলচরে, উত্তরপূর্ব ভারত... ওয়াও! আমার সাথে কার কী শত্রুতা ছিল যে আমাকে ভারতের সবচেয়ে *** বাজে অঞ্চলে নিযুক্ত করা হল? আমাকে গোয়া, হিমাচল, দক্ষিণের কোথাও বা লাদাখে নিয়োগ করতে পারত।' (আরও পড়ুন: ইমেল মোদী-রাষ্ট্রপতিকে, আরজি করের নির্যাতিতার বাবা জবাব পেলেন…)
আরও পড়ুন: রহস্যজনক ভাবে হোটেল ঘরে মৃত্যু TMC বিধায়কের নিরাপত্তারক্ষী, সঙ্গে থাকা মহিলা আটক
আরও পড়ুন: পুণেকাণ্ডে অভিযুক্ত গ্রেফতার, ধর্ষণের প্রায় ৬৬ ঘণ্টা পর পুলিশের জালে দত্তাত্রেয়
এদিকে এরপর ভিডিয়োতে দিপালীকে বতে শোনা যায়, 'আমার মনে হয় বিহার ভারতের অংশ বলেই এখনও আমরা উন্নয়নশীল দেশ। যেদিন ভারত থেকে বিহার সরে যাবে, সেদিন আমরা উন্নত হয়ে যাব। এখানের মানুষের কোনও সিভিক সেন্স নেই। তারা ট্রেনে কী করেছে, তা সকলেই দেখেছেন।' এদিকে এই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই সমস্তিপুরের সাংসদ কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় সংগঠনের কমিশনারকে চিঠি লিখে বলেন, 'এই ভিডিয়োতে অনেক অনুপযুক্ত কথা বলা হয়েছে এবং তিনি (দিপালী) শিক্ষক হওয়ার যোগ্য নন।'