ফের অশান্ত উত্তরের রাজ্য মণিপুর। রাজ্যের চূড়াচাঁদপুর জেলায় আততায়ীদের গুলিতে কমপক্ষে ৪ জন নিহত হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৬০ বছর বয়সি এক মহিলাও রয়েছেন।তবে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে গোষ্ঠী দ্বন্দের কোনও যোগ নেই।এই ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছডিয়েছে চূড়াচাঁদপুর-সহ জনজাতি অধ্যুষিত জেলাগুলিতে।
পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার দুপুরে চূড়াচাঁদপুর জেলার মংজং গ্রামের কাছে এই হামলার ঘটনা ঘটে।মংজং গ্রামটি চূড়াচাঁদপুর সদর দফতর থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। সেখানে একটি এসইউভিতে করে বেশ কয়েকজন যাচ্ছিলেন।সেই সময় হঠাৎ একদল অজ্ঞাত পরিচয় আততায়ী গাড়ির সামনে এসে দাঁড়ায় এবং যাত্রীদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি করতে শুরু করে। গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন যাত্রীরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এক মহিলা সহ ৪ জনের। চূড়াচাঁদপুর সদর দফতরের এক কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে যে সকলকে খুব কাছ থেকে গুলি করা হয়েছে। ঘটনার পর ঘটনাস্থল থেকে ১২টিরও বেশি খালি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি। নিহতদের নাম এবং ঠিকানা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন-৭০ লক্ষের গাড়ি-৮০০ গ্রাম সোনাতেও চাহিদা মিটল না! করুন পরিণতি নববধূর
অন্যদিকে, এখনও পর্যন্ত কোনও গোষ্ঠীই এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।এই ঘটনায় গোটা এলাকায় ভয় এবং আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যদের ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। ওই এলাকায় বিশেষ সতর্কতা জারি হয়েছে। বর্তমানে নিরাপত্তা বাহিনী গোটা এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে।তবে পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জাতিগত সংঘর্ষের কোনও যোগসূত্র নেই। তবে কুকি বিদ্রোহীদের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে মণিপুর গোষ্ঠীহিংসায় উত্তপ্ত।তারমধ্যে এই হামলার ঘটনায় রাজ্যে অশান্তি বাড়তে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই আবহে প্রশাসন জনগণকে শান্তি বজায় রাখার এবং যে কোনও ধরণের গুজবে কান না দেওয়ার জন্য আবেদন করেছে।ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। হামলাকারীদের সনাক্ত করতে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আরও পড়ুন-৭০ লক্ষের গাড়ি-৮০০ গ্রাম সোনাতেও চাহিদা মিটল না! করুন পরিণতি নববধূর
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের মে মাসে মণিপুরে মেইতেই ও কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে জাতিগত সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়ায়। গত দেড় বছরে মনিপুরে গোষ্ঠী হিংসায় ২৬০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং প্রায় ৫০,০০০ জন বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।