হুগলির পাণ্ডুয়া ব্লকে চারটি সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে দাপট দেখাল তৃণমূল। সমবায় নির্বাচনে ফের সবুজ ঝড়। হুগলির পাণ্ডুয়ায় একসঙ্গে চারটি কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতির নির্বাচনে জয় পেল তৃণমূল কংগ্রেস। ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে দেখা গিয়েছে ব্যাপক উন্মাদনা দেখা দেয়। সবুজ আবির মেখে বিজয় উল্লাসে মেতে ওঠেন কর্মী-সমর্থকরা।
আরও পড়ুন: ধূপগুড়িতে সমবায় নির্বাচনে লাল ঝড়, বিপুল জয় বামেদের, ধরাশায়ী তৃণমূল কংগ্রেস
এই জয়ের পর পাণ্ডুয়া ব্লক তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, পাণ্ডুয়া এখন তৃণমূলের দুর্গে পরিণত হয়েছে। এই জয় ভবিষ্যতের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে। ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্যজুড়ে চলছে একের পর এক সমবায় সমিতির নির্বাচন। বেশিরভাগ জায়গায়ই জয় পাচ্ছে শাসক দল। এবার পাণ্ডুয়াতেও তার ব্যতিক্রম হল না। চারটি সমবায়ের মধ্যে দেপাড়া সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির সমস্ত ১২টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় তৃণমূল প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছেন।
মাগুরা সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির ৯টি আসনের সবকটিতেই সিপিএমকে হারিয়ে জয় পায় তৃণমূল। বিজেপি এখানে কোনও প্রার্থী দেয়নি। সবচেয়ে বড় লড়াই হয় পাকরি রাধানগর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতিতে। ৭৭টি আসনের মধ্যে তৃণমূল জয় পায় ৪৭টিতে। বিজেপি ১৩টি ও সিপিএম ১৪টি আসন দখল করে। ৩টি আসনে কেউ প্রার্থী দেয়নি। নান্দিন সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির ৫০টি আসনের মধ্যে তৃণমূল জয়লাভ করে ৩৪টিতে, বিজেপি ১৫টি এবং সিপিএম মাত্র একটি আসন পায়। এই ফলাফলের পর তৃণমূল নেতৃত্ব দাবি করেছে, মানুষের আস্থা এখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন মডেলের দিকেই রয়েছে। তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, চাষিরা উন্নয়নের সুফল পাচ্ছেন বলেই বিরোধীরা অনেক জায়গায় প্রার্থী দিতেই পারেনি।
অন্যদিকে, বিজেপির নেতৃত্বের বক্তব্য, নান্দিন সমবায়ে ১৯টি আসনে লড়েছিল বিজেপি। সেখানে ১৫টিতে জয় এসেছে। বিধানসভায় তার থেকেও ভালো ফল হবে। বামফ্রন্টের পাণ্ডুয়ার প্রাক্তন বিধায়ক আমজাদ হোসেন জানান, তৃণমূল মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় থেকেই হুমকি, ভয় দেখানো শুরু করেছিল। যেখানে সত্যিকারের ভোট হয়েছে, সেখানে ব্যবধান খুব কম। মানুষ সুযোগ পেলে তৃণমূলকে উৎখাত করবে। সব মিলিয়ে পাণ্ডুয়ার এই ফল নতুন করে উজ্জীবিত করেছে তৃণমূল শিবিরকে। একই সঙ্গে বিরোধীরা ভোটের পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে।