পরেশ রাওয়াল মনে করেন, দর্শকের রুচি বদলেছে কিন্তু চলচ্চিত্র নির্মাতারা তা বুঝতে পারছেন না। সম্প্রতি একটি পডকাস্টে এবিষয়ে তিনি অনেকগুলি কারণ ব্যাখ্যা করেছিলেন যে লোকেরা কেন আজকাল সিনেমাহলে যাচ্ছেন না। যার মধ্যে বাড়তি টিকিটের দামও অন্তর্ভুক্ত ছিল। শুধু তাই নয়, যাঁরা রিক্লাইনারে বসে সিনেমা দেখতে যান, তাঁদের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন পরেশ। বলেন, যদি বালিশ নিয়ে বসতে চান, তাহলে মুজরা দেখতে যান, ছবি নয়।
এদিকে অতি- সম্প্রতি পরেশ রাওয়াল দর্শকদেরও সুখবর দিয়ে জানিয়েছেন যে তিনি হেরা ফেরি ৩-এ থাকবেন। হিমাংশু মেহতার পডকাস্টে হাজির হয়েছিলেন তিনি, সেখানেই হাজির হয়েছিলেন তিনি। সেখানেই তিনি এই কথাগুলি বলেন।
তাঁকে যখন ছবি না চলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়, তখন তিনি বলেন, , ' নির্মাতারা ছবির সাবজেক্টগুলিই ভুল নির্বাচন করছেন। তাছাড়া ওটিটি মানুষকে লকডাউনে দু'বছর আনন্দ দিয়েছে। এতে দর্শকদের রুচি পাল্টে গিয়েছে এবং নির্মাতারা সেটা ঠিকমতো বুঝতে পারছেন না। দর্শক অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে। তবে কিছু বাণিজ্যিক চলচ্চিত্র চলতে পারে, তবে যদি আপনি যদি একই ধরণের ছবি বানিয়ে যেতে থাকেন, তাহলে আপনি শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হবেন। আমি বলছি না বাণিজ্যিক ছবি বানানো যাবে না, তবে সেগুলো তৈরিতে প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে। এমন নয় যে আপনি যা খুশি তাই বানাবেন।'
টিকিটের বর্ধিত দাম নিয়েও এদিন ক্ষোভ প্রকাশ করেন পরেশ রাওয়াল। বলেন, 'এবার স্টারডম সীমিত হয়ে যাবে। বেশিদিন টিকবে না। এখন প্রতি শুক্রবার তারকা বদলায়। পরেশ রাওয়ালও টিকিটের দাম বৃদ্ধিকেও দর্শকদের সিনেমাহল বিমুখ হওয়ার জন্য কিছুটা দায়ী করেছেন।
তিনি বলেন, ‘দক্ষিণে একটি স্ল্যাব ফিক্স আছে। দাম ১৬০-২০০ টাকা, এর বেশি নেওয়া যাবে না। এ থেকে যদি হার বাড়ে, তাহলে ছবি চলবে না। যদি সাধারণ জনগণ আপনার চলচ্চিত্রকে প্রত্যাখ্যান করে এবং কেবল ধনী শ্রেণি বড়াই করে, তাহলে সেটা ঠিক হবে না। ’
মাল্টিপ্লেক্সে হেলান দিয়ে যাঁরা সিনেমা দেখেছেন তাঁদের উপরও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন পরেশ রাওয়াল। তিনি বলেন, 'তুমি বসে বসে সিনেমা দেখুন, শুয়ে নয়। আপনি এখানে স্পা করতে আসেননি, আপনি একটি সিনেমা দেখতে যাচ্ছেন। মাঝখানে ওয়েটাররা আসতে থাকে, বলতে হয়, 'হট-হট'। ওহ, এটা ছবি, কারোর বিয়ে নয়, এতসব নোংরামি, গোল্ড ক্লাস ইত্যাদির কারণে প্রেক্ষাগৃহে যেতে ইচ্ছে করছে না।'
'পরেশ রাওয়াল বলছেন, 'সিটে আরাম করে বসতে সমস্যা নেই, কিন্তু বালিশ নিয়ে শুয়ে থাকতে হবে কেন? এভাবে বসতে চাইলে স্পাতে যান বা মুজরা দেখে যান। একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের ৫-৬ জন যদি একটা সিনেমা দেখতে যায়, তাহলে তাXদের মধ্যে ৫০০০ থেকে ৬০০০ এমনি এমনি বেরিয়ে যায়। এটাও নিশ্চিত নয় যে আপনি সিনেমাটি দেখতে উপভোগ করবেন। '