চলতি বছরেই সন্তানের মা-বাবা হয়েছেন অভিনেত্রী রূপসা চট্টোপাধ্যায় এবং সায়নদীপ সরকার। দেখতে দেখতে ৬ মাস হল ছেলের, আর এবার মুখে ভাতের পালা। তাই সকাল থেকে নিয়ম মেনে হচ্ছে অন্নপ্রাশনের অনুষ্ঠান।
আরও পড়ুন: 'শ্মশানযাত্রা দেখতে হল, মানতে পারছি না…', কাছের মানুষকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ চিরঞ্জিৎ
টলিউড অনলাইনের শেয়ার করা ভিডিয়োয় দেখে গিয়েছে অন্নপ্রাশনের মূল অনুষ্ঠান শুরু আগে ছেলে অগ্নিদেবকে শ্রী কৃষ্ণের সাজে সাজিয়েছিলেন তাঁরা। মাথায় মূয়র পালক দেওয়া মুকুট, হলুদ ধুতি, গলায় হার, উত্তরীয়, হাতে বাজুবন্ধ পরে খুব মিষ্টি দেখাচ্ছিল একরত্তিকে। হাতে আবার ছোট্ট বাঁশিও নিয়েছিল সে।
আরও পড়ুন: মেয়েকে কোলে নিয়ে জন্মদিনে কেক কাটলেন সুদীপ! ‘বাবা কে ছাড়া বাবা হিসেবে…’, আবেগে ভাসলেন অনিন্দিতা
অন্যদিকে, রূপসার পরনে ছিল টকটকে লাল বেনারসী। গা ভর্তি সোনার গয়না, টানা কানের দুল, ছোট্ট লাল টিপে সেজে উঠেছিলেন নায়িকা। ফুল দিয়ে মাথায় খোঁপাও বেঁধেছিলেন তিনি। অন্যদিকে, তাঁর সঙ্গেই রংমিলান্তিতে ধরা দিয়েছলেন সায়নদীপ। তিনি গোল্ডেন সুতোর কাজ করা লাল পাঞ্জাবি ও ধুতি পরেছিলেন।
আরও পড়ুন: মারণরোগে আক্রান্ত ‘আরণ্যক’, তার মাঝেই নতুন নায়কের এন্ট্রি 'রোশনাই'-এ! কোন অভিনেতাকে দেখা যাবে?
এদিন রীতি মেনে খুদে অগ্নিদেবকে তাঁর দিদা ও ঠাকুমা-সহ পরিবারের সকলে ধানদূর্বা দিয়ে আশীর্বাদ করেন। তারপর কৃষ্ণ সাজেই মুখে ভাত দেওয়ার আগে মায়ের কোলে বসে স্নান সারে একরত্তি। শুধু কী তাই। বাবা সায়নদীপকে আবার শাঁখও বাজাতে দেখা যায় খুদের স্নান করার সময়।

তবে স্নানের পর একদম অন্যসাজে সেজেছিল রূপসা-পুত্র। সেও বাবা-মায়ের সঙ্গে রং মিলিয়ে গোল্ডেন সুতোর কাজ করা লাল পাঞ্জাবি আর সোনালি রঙের ধুতিতে সেজে উঠেছিল। মা রূপসা আবার ছেলের গলায় সোনার চেনও পরিয়ে দেন। তবে এখনও একরত্তির মুখে ভাত দেওয়ার ছবি প্রকাশ্যে আসেনি।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই রূপসা স্যোশাল মিডিয়ায় ছেলের অন্নপ্রাহশনের কথা লিখে পোস্ট করেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, ‘সন্তানের ৫ মাস সম্পন্ন হল। আর ২ দিন। অগ্নির অন্নপ্রাশন। আপনারা সবাই আশীর্বাদ করবেন ওকে।’
উল্লেখ্য, ছেলের সাড়ে তিন মাস বয়স হতেই কাজে ফিরে ছিলেন নায়িকা। যদিও বাড়িতে থাকলেই গোটা সময়টা ছেলেকেই দেন অভিনেত্রী। জানা গিয়েছে, একটি নতুন ওয়েব সিরিজে অভিনয় করবেন তিনি। কাজের ফাঁকে ফাঁকেই ছেলেকে সামলান নায়িকা, এইভাবেই সবকিছু সামলে নিজের স্বপ্ন পূরণ করছেন রূপসা।