আজ সোমবার ভোট গণনা চলছে কালীগঞ্জ উপনির্বাচনের। কয়েক রাউন্ড ভোট গণনা শেষে এগিয়ে রয়েছেন প্রয়াত বিধায়ক নাসিরউদ্দিন আহমেদ তথা লাল সাহেবের কন্যা ও তৃণমূল প্রার্থী আলিফা আহমেদ। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে কখনও বিজেপি আবার কখনও বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী উঠে আসছেন। তবে তার আগেই জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে কার্যত ধরাশায়ী হল তৃণমূল কংগ্রেস। এই সমবায় নির্বাচনে রীতিমতো চমক দেখাল বাম শিবির। মাগুরবাড়ি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত আলতাগ্রাম সমবায় সমিতির নির্বাচনে ৯টি আসনের মধ্যে ৮টি দখল করে নিয়েছে সিপিএম।
আরও পড়ুন: ভগবানপুরের সমবায় নির্বাচনে বড় জয় তৃণমূল কংগ্রেসের, ঘাসফুলের ঝড়ে কাত পদ্ম
রবিবার সকাল থেকেই শুরু হয় ভোটগ্রহণ। আর দিনের শেষে ফলাফল সামনে আসতেই দেখা দেয়, তৃণমূল কার্যত ধরাশায়ী, একমাত্র একটি আসনে তাদের জয় মিলেছে। বামেদের এই জয়কে ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই ধূপগুড়িতে খুশির হাওয়া। এলাকা জুড়ে উল্লাসে মেতে উঠেছেন কর্মী-সমর্থকেরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটের দিন যাতে কোনও রকম গন্ডগোল না হয়, তার জন্য মোতায়েন ছিল বড়সড় পুলিশ বাহিনী। তবে দিনের পুরোটা জুড়ে ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবেই সম্পন্ন হয়েছে বলে জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে। জয়ের পর সরব হয়েছে বাম নেতৃত্ব। স্থানীয় সিপিআইএম নেতা মুক্তার আলি জানান, তৃণমূলের তরফে ছাপ্পা ভোট ও হামলার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু মানুষ বামেদের উপর ভরসা রেখেছে। ভোটে সিপিএম পরিষ্কারভাবে জয়ী হয়েছে। তবে এই হারে দমে যেতে নারাজ ঘাসফুল শিবির। স্থানীয় তৃণমূল নেতা মুকুল রায় বলেন, ধূপগুড়ি এলাকায় বরাবরই সিপিএমের সংগঠন শক্তিশালী। তৃণমূল প্রার্থী দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। লড়াই করেছে। মানুষ দেখেছে তৃণমূল ময়দানে ছিল। আগামী দিনে এর ফল আসবে বলে তিনি মনে করেন।
রাজ্যের অন্যদিকে যখন কালীগঞ্জে উপনির্বাচনের ভোটগণনা চলছে এবং উত্তেজনা বাড়ছে, ঠিক তখন ধূপগুড়িতে এই সাফল্য নিঃসন্দেহে বামেদের মনোবল বাড়াবে। বিশেষ করে এমন সময়, যখন তাঁরা বহু জায়গাতেই সংগঠনের দিক থেকে নতুন করে জমি পাকা করার চেষ্টা করছে। এই নির্বাচনী ফল বামেদের কাছে শুধু সংখ্যা নয়, ধূপগুড়ির এই সাফল্য যে আগামী দিনে তাদের রাজনৈতিক পথে একটু হলেও অক্সিজেন জোগাবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।