কিছুদিন আগেই ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েল্স ক্রিকেট বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছিল যে এই বছরের ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজের নাম রাখা হবে অ্যান্ডারসন -তেন্ডুলকর সিরিজ। অর্থাৎ ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক মনসুর আলি খান পতৌদির নামাঙ্কিত সিরিজ এবার আর থাকছে না। বিতর্কও শুরু হয় এই নাম পরিবর্তন নিয়ে। সুনীল গাভাসকর বিরক্ত প্রকাশ করে বলেছিলেন, অযথা নাম পরিবর্তনের এখনই কোনও দরকার ছিল না। অ্যান্ডারসনের নাম সচিনের আগে বসা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ভারতের প্রাক্তনীরা। কারণ সচিনের মতো সাফল্য টেস্ট ক্রিকেটে জিমির নেই।
এবার এই নিয়েই মুখ খুললেন প্রাক্তন ভারতীয়. ক্রিকেটার ফারুখ ইঞ্জিনিয়র। প্রবল বিতর্কের মুখে পরে ইসিবি। এরপর সচিন তেন্ডুলকর স্বয়ং ইসিবির কাছে অনুরোধ করেন যাতে পতৌদির নামকে ফিরিয়ে আনা হয় সিরিজে। বিসিসিআইও এই নিয়ে কথাবার্তা শুরু করে ইংল্যান্ড বোর্ডের সঙ্গে। এরপরই প্রাক্তন অধিনায়কের নামে ম্যাচের জয়ী অধিনায়ককে পদক দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়।
যা নিয়েই এবার ফারুখ ইঞ্জিনিয়র বলছেন, ‘টাইগার পতৌদি আমার খুব ভালো বন্ধু ছিল, আমার সতীর্থ ছিল। একসঙ্গে আমরা অনেক ক্রিকেট খেলেছি। ও অনেক বড় পরিবারের ছেলে। ২০০৭ সালে যখন ওর নামে ট্রফি ঘোষণা করা হয়েছিল আমি খুব খুশি ছিলাম। এরপর যখন এখন পতৌদির নাম সরিয়ে দেওয়া হয় তখন আমি খুবই অখুশি ছিলাম, সচিন এবং অ্যান্ডারসনের নামে সিরিজের নামকরণ করা হয়, ওরাই ক্রিকেটের অনেক বড় নাম। তবে পতৌদি মেডেলের বিষয়টা নিয়ে অনেক পড়ে ভাবা হয়েছে। এটা আরও আগেই ভাবা উচিত ছিল, তাহলে ওদের যে দক্ষতা সেটার প্রমাণ পাওয়া যেত। অনেক পড়ে তাঁরা সাধারণ বুদ্ধি কাজে লাগিয়েছে’।
ভারত ইংল্যান্ডের মধ্যে ক্রিকেটিং সম্পর্কের ৭৫ বছর পূর্তিতে ২০০৭ সালে পতৌদি ট্রফির নামকরণ করা হয়েছিল। ইফতিখার আলি খান পতৌদি এবং তাঁর পুত্র মনসুর আলি খান পতৌদি ভারতের অধিনায়ক হওয়ার পাশাপাশি দীর্ঘদিন ইংল্যান্ডে কাউন্টি ক্রিকেট খেলেছেন। ফারুখ ইঞ্জিনিয়র নিজেও ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়ে দীর্ঘদিন খেলায় সেদেশের ক্রিকেটভক্তদের কাছে অত্যন্ত প্রিয় মানুষ।
তিনি ইসিবির কাছে একটা আর্জি রেখেছেন। ফারুখ বলছেন, ‘তেন্ডুলকর বা অ্যান্ডারসন ক্রিকেটে যা সাফল্য পেয়েছেন, তা অস্বীকার করা যাবে না। তবে এখানে দুটি দিক রয়েছে। প্রথমত ওরা অন্তত পতৌদির নামাঙ্কিত পদক দেওয়ার কথা ভেবেছে,সেটা হয়ত পড়ে ভেবেছে। কিন্তু তাতে সচিন বা অ্যান্ডারসনের কিছু করার নেই, আর আমি ইসিবির এই সিদ্ধান্তেরও বিরোধি নয়। এটা নিয়ে বিতর্ক হতেই পারে। তবে আমি আশা করব কোনও এক ম্যাচে শর্মিলা ঠাকুর অর্থাৎ পতৌদির স্ত্রী এবং ছেলে সইফ আলি খানকে হয়ত পদক তুলে দেওয়ার মঞ্চে আমন্ত্রণ জানানো হবে। এর আগে সিরিজে ওরা সেটা করেনি, সেটার জন্য পিসিবির দিকে আঙুল উঠেছিল। আশা করব এবার ওরা সেই ভুল করবে না ’।