লিভ-ইন পার্টনারকে খুন করে আবর্জনার ফেলার গাড়িতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগে অসমের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে বেঙ্গালুরু পুলিশ। রবিবার আবর্জনার ফেলার গাড়ি থেকে এক মহিলার বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধারের শোরগোল পড়ে গিয়েছিল ব্রুহাত বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকের আওতায় থাকা এলাকায়। চান্নাম্মানাকেরে স্কেটিং গ্রাউন্ডের কাছে ওই গাড়ির পিছনের অংশে একটি ব্যাগে ভরে ফেলে রাখা হয়েছিল মৃতদেহটি।ঘটনার তদন্তে নেমে বড় রহস্যের উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ।
সূত্রের খবর, রবিবার সকালে স্থানীয় এক বাসিন্দাই জঞ্জাল ফেলতে এসে ওই বস্তাটি প্রথম দেখেন। সন্দেহ হওয়ায় তিনি পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে বস্তা খুলে মহিলার দেহ উদ্ধার করে। এরপর এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ জানতে পারে, রাত ১ টা থেকে ৩ টের দিকে অটোয় করে এক ব্যক্তি এসে ওই বস্তাটি আবর্জনার গাড়িতে ফেলে দিয়ে যায়। পরে ওই বস্তার মুখ খুলে দেখা যায় হাত, পা বাঁধা অবস্থায় মহিলার দেহ রয়েছে।এরপর খুনের মামলা দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু করতেই সামনে আসে আসল ঘটনা। ঘটনার ২০ ঘন্টার মধ্যে শামসুদ্দিন নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।পুলিশ জানিয়েছে, মৃত মহিলার নাম আশা। তিনি অভিযুক্ত শামসুদ্দিনের সঙ্গে দুই বছর ধরে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন। একটি সংস্থায় কাজ করার সময় তাদের পরিচয় হয়েছিল।প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, আশার মদ্যপানের অভ্যাস এবং গভীর রাতে ফোনে কথা বলার জেরে যুগলের মধ্যে নিত্যদিন অশান্তি লেগেই থাকত। ঘটনার দিনও দুজনের মধ্যে অশান্তি হয়।অশান্তি চরমে উঠলে আশাকে শ্বাসরোধ করে শামসুদ্দিনকে খুন করে বলে অভিযোগ। তারপর আশার দেহ বস্তায় ভরে আবর্জনার গাড়িতে ফেলে দিয়ে যায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, আশা বিধবা ছিলেন। দু’সন্তানের মা তিনি। অন্যদিকে, শামসুদ্দিন বিবাহিত। তার দুই সন্তান অসমে থাকে। তিনি বেঙ্গালুরুর হুলিমাভুতে একটি বাড়িতে আশার সঙ্গে থাকতেন। ওই দিন খুনের পর শামসুদ্দিন আশার মৃতদেহ বাইকে করে নিয়ে আসেন এবং আবর্জনার ট্রাকে করে ফেলে দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান বলে অভিযোগ।পুলিশের জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত জারি রয়েছে।
উল্লেখ্য, কয়েক সপ্তাহ আগেই বেঙ্গালুরুতে ৩৩ বছর বয়সী এক বিবাহিত মহিলার মর্মান্তিক খুনের ঘটনা সামনে এসেছিল। দুই সন্তানের মা ওই মহিলাকে ছুরি মেরে হত্যা করা হয়েছিল। এক যুবকের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্কের জেরেই ওই মহিলাকে খুন হতে হয় বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। এরই মধ্যে আরও এক মহিলার বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার হল বেঙ্গালুরুতে। এই ঘটনার পর সে রাজ্যে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।কিছু দিন আগে হরিয়ানার ফরিদাবাদের একটি ঘটনাও নাড়িয়ে দিয়েছিল। বৌমাকে ধর্ষণ করে শ্বশুরবাড়ির সামনের রাস্তায় মাটির ১০ ফুট নীচ পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে শ্বশুরের বিরুদ্ধে। দু’মাস পরে ওই তরুণীর পচাগলা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।