ভারতের জলসীমায় অনুপ্রবেশ করায় ১৩ বাংলাদেশিকে আটক করল প্রতিকূলরক্ষী বাহিনী। এরই সঙ্গে সেই বাংলাদেশিদের ট্রলার আটক করা হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৭ সেপ্টেম্বর ভোররাতে এই বাংলাদেশিদের আটক করা হয়েছিল। এরপর তাদের কোস্ট গার্ডের জাহাজে তুলে আনা হয়। এই বাংলাদেশিদের জেরা করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় বাংলাদেশিরা দাবি করে, তারা পেশায় মৎস্যজীবী। এদিকে আটক বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছে পুলিশ।এদিকে বাংলাদেশিদের সেই ট্রলারটি সুন্দরবনের ফ্রেজারগঞ্জে নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আটক হওয়া ট্রলারটির নাম ‘মায়ের দোয়া’। এদিকে আটক বাংলাজেশিদেরও পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এদিকে আটক বাংলাদেশিদের মধ্যে অনেকের বাড়ি বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার পূর্বচন্ডীপুরে বলে জানা যাচ্ছে। এছাড়া কয়েকজনের বাড়ি ফিরোজপুর ও জিয়ানগরে। আজ ধৃতদের কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। এর আগে বাংলাদেশে সরকারে পালা বদলের সময় জলসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগে আটক হয়েছিল ভারতীয় ট্রলারকে। দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় মৎস্যজীবীদের আটকে রাখা হয় পড়শি দেশে।গত ১৫ জুলাইও ভারতের ৩৪ জন মৎস্যজীবীকে আটক করা হয়েছিল বাংলাদেশে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ অঞ্চল থেকে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকে পড়েন ওই ৩৪ জন ভারতীয় মৎস্যজীবী। এর জেরেই তাঁদের আটক করেছে বাংলাদেশের নৌবাহিনী। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তাঁদের ব্যবহৃত দু’টি ট্রলার ‘এফবি ঝড়’ ও ‘এফবি মঙ্গলচণ্ডী ৩৮’।এর আগে চলতি বছরের শুরুতে বাংলাদেশ থেকে মুক্তি দেওয়া হয় ভারতীয় মৎস্যজীবীদের। ২০ ডিসেম্বর তাদের ধরে নিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। ভারতীয় মৎস্যজীবীদের সঙ্গে খারাপ আচরণের অভিযোগ ওঠে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। অভিযোগ ওঠে, ভারতীয়দের উলঙ্গ করে নাকি ছবি তোলা হয়েছিল। মারধর করা হয়েছিল কারাগারে। একাধিকবার নাকি তাদের পোশাক খুলিয়ে অত্যাচার চালানো হয় তাঁদের ওপরে। সেই সময় নাকি শেখ হাসিনাকে 'ভারতের মা' বলে আখ্যা দিয়েছিলেন অত্যাচার চালানো বাংলাদেশি পুলিশ সদস্যরা।