এক বছরে মাত্র ২ টেস্ট ভারতের, আরও বেশি ম্যাচের দাবি হরমনপ্রীতের

সময় যত গড়াচ্ছে ততই যেন টেস্ট ক্রিকেটের উন্মাদনা হারাচ্ছে। টেস্ট ক্রিকেটের উন্মাদনা ফিরিয়ে আনতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে আইসিসি। তার মধ্যে একটি হল দিন-রাতের গোলাপি বলের টেস্ট। আর অপরটি হল বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। আইসিসি টেস্ট ক্রিকেটকে বাচিয়ে রাখতে কোনও রকম খামতি রাখছে না। যদি টেস্ট ক্রিকেট পুরুষ দলগুলি বেশিরভাগ খেলে থাকে। তবে মেয়েদের সেই ভাবে খেলতে দেখা যায় না। এই যেমন ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল এখনও পর্যন্ত হাতে গোনা কয়েকটি টেস্ট ম্যাচ খেলেছে। এমনকী ২০২২-২০২৫ সাল পর্যন্ত যে ক্রীড়াসূচি মহিলাদের জন্য প্রকাশিত হয়ে সেখানে হাতে গোনা কয়েকটি টেস্ট খেলবে ভারতীয় মহিলা দল।তবে ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর চান আরও বেশি টেস্ট ম্যাচ খেলতে। সম্প্রতি স্কাই স্পোর্টস ক্রিকেট পোডকাস্ট অনুষ্ঠানে এমনটাই বলেন হরমন। ভারতীয় মহিলা দলের অধিনায়ক জানিয়েছেন, 'এই বছর আমাদের দুটি টেস্ট আছে, একটি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এবং একটি অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। আমি আশা করি এই ম্যাচগুলি মহিলাদের ক্রিকেটে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে। আমি আশা করি ভবিষ্যতে আমরা আরও বেশি টেস্ট ম্যাচ পেতে থাকব। মহিলাদের ক্রিকেটে আমাদের টেস্ট ম্যাচ ফিরিয়ে আনতে হবে কারণ এটা মহিলাদের ক্রিকেটের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।'ভারতীয় মহিলা দল শেষ টেস্ট খেলেছে ২০২১ সালে অস্ট্রেলিয়ায়। কিন্তু তারপর আর টেস্ট খেলেননি হরমনপ্রীতরা। স্বাভাবিক ভাবেই পুরুষদের থেকে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে মহিলা দল। ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ২০২৩-২৪ মরশুমে ঘরের মাঠে ভারত শুধুমাত্র কয়েকটি টেস্ট ম্যাচ খেলার কথা। ইংল্যান্ড সর্বাধিক সংখ্যক পাঁচটি টেস্ট খেলবে। পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা চারটি এবং তিনটি করে টেস্ট ম্যাচ খেলবে।ভারত অধিনায়ক আরও বলেন, 'একজন ক্রিকেটার হিসাবে, আমি অবশ্যই আরও বেশি টেস্ট খেলতে চাই। কারণ আমরা ছোট বেলায় টিভিতে টি-টোয়েন্টির চেয়ে বেশি টেস্ট দেখেছি। আজকাল, টি-টোয়েন্টি খেলাটা অনেক মজার কিন্তু টেস্ট ক্রিকেট এমন একটা জিনিস যা প্রত্যেক ক্রিকেটারই খেলতে চায়। টেস্ট থেকে অনেক কিছু শেখা যায়, যা অন্য ফরম্যাট থেকে শেখা যায় না।'আগের চেয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে মেয়েদের অনেক বেশি যে ম্যাচ হচ্ছে তাও মেনে নিয়েছেন তিনি। হরমন বলেন, 'প্রথম দিকে যখন আমি খেলা শুরু করি, তখন আমরা খুব কমই ঘরোয়া ম্যাচ পেতাম। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে ঘরোয়া পর্যায়ে অনেক উন্নতি হয়েছে। আমরা আরও বেশি ম্যাচ পাচ্ছি এবং কিছু ঘরোয়া খেলাও লাইভ রয়েছে, লোকেরা টিভিতে দেখতে পারছে। দিন দিন মেয়েদের খেলার উন্নতি ঘটছে। আমরা শত বেশি ম্যাচ খেলব তত নিজেদের উন্নতি করবে পারব। সেই সঙ্গে নতুন ক্রিকেটার উঠে আসার সম্ভাবনা তৈরি হবে।'