ইরানের ফুটবল সংস্কৃতি নিয়ে কদর্য আক্রমণ শানিয়েছিলেন জুর্গেন ক্লিসম্যান। তাঁকে পালটা সবক শেখালেন ইরানের কোচ কার্লোস কুইরোজ। ইরানের সংস্কৃতির বিষয়ে জানার জন্য জার্মানির প্রাক্তন তারকাকে আমন্ত্রণও জানান। সেইসঙ্গে ইরানের কোচ খোঁচা দিয়ে মন্তব্য করেন, 'আমরা আশা করছি যে আমাদের এখানে আসার আগে আপনি (ফিফার টেকনিকাল স্টাডি গ্রুপ) থেকে ইস্তফা দেবেন।'
রবিবার (ইংরেজি মতে) গভীর রাতে ইনস্টাগ্রাম পোস্টে কুইরোজ লেখেন, 'প্রিয় জুর্গেন, আপনি আমায় কার্লোস বলার উদ্যোগ নিয়েছেন। তাই আমার বিশ্বাস যে আপনাকে জুর্গেন বলার বিষয়টি ঠিক। ঠিক তো? এমনকী ব্যক্তিগতভাবে না জানলেও নিজেদের চিরাচরিত শ্রেষ্ঠত্ব হিসেবে ভাবার নীচু মানসিকতা থেকে আমার চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। মাঠে আপনি যা করেছিলেন, সেজন্য আপনাকে যতই সম্মান প্রদর্শন করি না কেন, ইরানের সংস্কৃতি, ইরানের জাতীয় দল ও আমার খেলোয়াড়দের নিয়ে আপনার মন্তব্য ফুটবলের জন্য লজ্জাজনক।'
কী বলেছিলেন ক্লিসম্যান?
শনিবার ফুটবল বিশ্বকাপে ওয়েলসকে ২-০ গোলে হারিয়ে দেয় ইরান। যে ম্যাচে ‘হার্ড’ (কড়া ট্যাকল) খেলেন ইরানের ফুটবলাররা। একাধিক ফাউল হয়। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির ফুটবল অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞ হিসেবে উপস্থিত ক্লিসম্যান বলেন, 'এটাই ওদের (ইরানের) সংস্কৃতি। তাই ইরানের জাতীয় দলের সঙ্গে এত খাপ খাইয়ে নিতে পারেন কার্লোস কুইরোজ (ইরানের কোচ)।'
জার্মানির বিশ্বকাপজয়ী প্রাক্তন তারকা বলেন, ‘লাতিন আমেরিকায় সমস্যার মুখে পড়েছিলেন (কুইরোজ)। কলম্বিয়াকে যোগ্যতা-অর্জন পর্ব পার করাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। ইজিপ্টের ক্ষেত্রেও ব্যর্থ হয়েছিলেন। বিশ্বকাপের ঠিক আগে ইরানে ফিরে যান। যে দেশে দীর্ঘদিন তিনি কাজ করে ফেলেছেন। তাই এটা কাকতলীয় বিষয় নয়।’ সঙ্গে তিনি যোগ করেন, 'এটা কাকতলীয় নয়। পুরোটাই ইচ্ছাকৃতভাবে করা হয়। এটা ওদের সংস্কৃতির অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এভাবেই ওরা খেলে। ওরা রেফারির উপর চাপ তৈরি করে করে। সারাক্ষণ কিছু বলতে থাকে।'
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।