শুভব্রত মুখার্জি: বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হয়েছে ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া সিরিজ। বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির প্রথম টেস্টে দুই দল মুখোমুখি হয়েছে নাগপুরে। আর এমন আবহেই এই সিরিজের ইতিহাসের পাতা ঘেঁটে এক অজানা কাহিনি সামনে আনলেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ভারতীয় ক্রিকেটের মহারাজ জানালেন ২০০১ সালের সিরিজে কীভাবে ভারতের পারফরম্যান্স দেখার পরে অজিরা বিশ্বাস করেই উঠতে পারেনি যে ভারত কি করছে তাদের সঙ্গে।
সংবাদ প্রতিদিনের হয়ে এক কলামে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘নিঃসন্দেহে ক্রিকেটের ইতিহাসে সেরা পার্টনারশিপ (দ্রাবিড়-লক্ষ্মণ)। ওই টেস্টের চতুর্থ দিনে আমরা একটাও উইকেট হারাইনি। ৩৩৫ রান যোগ করি। দিনের খেলা শেষ হওয়ার পরে রাহুল দ্রাবিড় এবং ভিভিএস লক্ষ্মণ ফিরে এসে ড্রিপস নিয়েছিল। গোটা দিন ব্যাট করার ফলে ওদের শরীর থেকে অনেক জল বেরিয়ে গিয়েছিল।তবে ক্লান্তিও থামিয়ে দিতে পারেনি ভিভিএস লক্ষ্মণ এবং রাহুল দ্রাবিড়কে। ওঁরা দুজন লড়াই করে গিয়েছিল। আর অস্ট্রেলিয়া! ওরা তো বিশ্বাস করতেই পারেনি ভারত ওদের বিরুদ্ধে কি করছে! হরভজন (সিং) যখন গ্লেন ম্যাকগ্রাথকে এলবিডব্লিউ আউট করে গোটা স্টেডিয়াম যেন ভেঙে পড়েছিল। ইডেন সে দিনের যে ইমোশন ছিল তা ছিল খুব ছোঁয়াচে। ভারতীয় ক্রিকেটকে ওই ম্যাচ নতুন জীবনদান করেছিল। আমাদের দল বিরল নজির গড়েছিল। আমরা যা করেছিলাম তা এখনও কেউ স্পর্শ করতে পারেনি। আমরা দেখিয়ে দিয়েছিলাম অজিদেরও হারানো যায়।’
২০০১ সালে ভারত সফরে এসেছিল অস্ট্রেলিয়া। সে বার প্রথম টেস্টে মুম্বইতে ভারতকে কার্যত উড়িয়ে দিয়েছিল তারা। ১০ উইকেটে হেরেছিল ভারত। তিন দিনেই শেষ হয়েছিল টেস্ট ম্যাচ। কলকাতায় দ্বিতীয় টেস্টেও ভারত একেবারেই সুবিধাজনক জায়গায় ছিল না। অজিরা প্রথম ইনিংসে ৪৪৫ রান করেছিল। যার জবাবে ভারত মাত্র ১৭১ রান করেই অল আউট হয়ে গিয়েছিল। ফলে তখন পর্যন্ত সিরিজের যে তিনটি ইনিংসে ভারত ব্যাট করেছিল কোনটাতেই তারা ২৫০ রান করতে পারেনি।
ফলে তিন টেস্টের সিরিজে একেবারে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল ভারতের। স্টিভ ওয়ার তরফে ভারতকে ফলো অন করানো হয়। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের রান ছিল তখন ৪ উইকেটে ২৩২ রান। সবেমাত্র ৪৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন তৎকালীন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। রাহুল দ্রাবিড় ব্যাট করতে আসেন। জুটি বাঁধেন ভিভিএস লক্ষ্মণের সঙ্গে। প্রথম ইনিংসে ভালো ব্যাটিং করার সুবাদে দ্বিতীয় ইনিংসে তিন নম্বরে দ্রাবিড়ের বদলে ব্যাট করতে পাঠানো হয় লক্ষ্মণকে। এরপরের ঘটনা সকলের জানা। জুটিতে ৩৭৬ রান করেন তাঁরা। দ্রাবিড় ১৮০ এবং লক্ষ্মণ ২৮১ রানের ইনিংস খেলেন। দ্রাবিড়, লক্ষ্মণের মহাকাব্যিক জুটিতে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিতেছিল ভারত। ফলো অন করার পরেও ঐতিহাসিক জয় পেয়েছিল তারা।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক http://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।