সম্প্রতি নিউ ইয়র্কে বন্দুকবাজের হামলার ঘটনায় নিহত চারজনের মধ্যে একজন পুলিশ কর্মকর্তাও ছিলেন। নিউ ইয়র্ক পুলিশ বিভাগের (এনওয়াইপিডি) তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সেই সাহসী কর্মকর্তার নাম দিদারুল ইসলাম (৩৬)। মিডটাউন ম্যানহাটনের একটি অফিস ভবনে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হন তিনি। নিউ ইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্ট (এনওয়াইপিডি) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন , দিদারুল বাংলাদেশ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন। তার দু’টি সন্তান এবং তার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা, তারা তৃতীয় সন্তানের প্রত্যাশায় ছিলেন।এই আবহে বিয়ে সেরে উগান্ডা থেকে ফিরে দিদারুলের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে বিতর্কে জড়িয়েছেন নিউইয়র্কের মেয়র প্রার্থী জোহরান মামদানি।নেপথ্যে ২০২০ সালে তাঁর বিতর্কিত 'পুলিশের তহবিল বন্ধ করুন' পোস্ট। (আরও পড়ুন: ভারত-রাশিয়া একসঙ্গে তাদের মৃত অর্থনীতি ধ্বংস করতে পারে: ট্রাম্প)
আরও পড়ুন-ভাগ্য নির্ধারণ সাধ্বী প্রজ্ঞাদের! ১৭ বছর পর মালেগাঁও বিস্ফোরণের রায়দান আজ
এক্স পোস্টে জোহরান মামদানি লেখেন, 'দুই দিন আগে, এক অর্থহীন সহিংসতার ঘটনায় অফিসার দিদারুল ইসলাম, ওয়েসলি লেপ্যাটনার, অ্যাল্যান্ড এটিয়েন এবং জুলিয়া হাইম্যানের প্রাণহানি ঘটে। আজ, আমি অফিসার ইসলামের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছি এবং তার উত্তরাধিকার সম্পর্কে জানতে পেরেছি। এই চারজন নিউ ইয়র্কবাসীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আমি আপনাদের সকলকে আমার সঙ্গে যোগ দিতে অনুরোধ করছি।' এরপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এক নেটিজেন লিখেছেন, 'জোহরান মামদানি একজন প্রতারক হিসেবে উন্মোচিত হয়েছেন। পুলিশকে উপহাস করছেন, তাদের বর্ণবাদী বলছেন, তারপর এমন আচরণ করছেন যেন তিনি কত চিন্তা করেন? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি তাঁর কোনও আনুগত্য নেই। তিনি উগান্ডার বাসিন্দা, নিউ ইয়র্ক সিটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন না। তাকে নির্বাসিত করা উচিত এবং আমাদের শহরকে রক্ষা করুন!' অন্যদিকে, আরেক একজন জোহরান মামদানির ২০২০ সালের পোস্টের একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন যেখানে '#DefundTheNYPD' হ্যাশট্যাগটি রয়েছে। (আরও পড়ুন: ট্রাম্পের শুল্কের জেরে ভারতের ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর কতটা প্রভাব পড়বে?)
আরও পড়ুন: বন্ধুত্ব গেল তেল বেচতে, পাকিস্তানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে দিবাস্বপ্ন দেখছেন ট্রাম্প
আরও পড়ুন: বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে ভারত-মার্কিন ষষ্ঠ দফার বৈঠক কবে? কেন চুক্তি করছেন না মোদী?
এক নেটিজেন আবার লিখেছেন, 'একটু ভাবুন, যদি আপনি আপনার ইচ্ছামতো পুলিশকে তহবিল থেকে বঞ্চিত করতেন তাহলে কী হতো?' আবার একজন মন্তব্য করেছেন, 'আর আপনি কি পুলিশের তহবিল থেকে বঞ্চিত করতে চান?' নিউ ইয়র্কের হামলার সময় মামদানি তার বিয়ের জন্য উগান্ডায় ছিলেন। বুধবার তিনি ফিরে আসেন এবং ইসলামের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান। পরে তিনি বলেন, 'আজ সকালে আমি নিউ ইয়র্ক সিটিতে ফিরেই সরাসরি অফিসার ইসলামের বাড়িতে যায়, যেখানে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেছি, ছোট-বড় সবাই তাদের ছেলে, ভাই, বাবা, স্বামী, বন্ধুর মৃত্যুতে শোকাহত। এমনভাবে মনে ভেঙেছে যা ভাষায় বর্ণনা করা সম্ভব নয়।' তিনি আরও বলেন, 'আমরা প্রায় এক ঘন্টা একসঙ্গে কাটিয়েছি, কিছু মুহূর্ত আমার মনে দাগ কেটে গিয়েছে।'