আজ সকাল থেকেই সেনা-জঙ্গির গুলির লড়াই চলছে উধমপুরে। সেই ঘটনাতেই শহিদ হয়েছেন এক জওয়ান। এদিকে জঙ্গিদের খতম করার জন্যে অভিযান এখনও জারি রাখা হয়েছে। শহিদ জওয়ান বাংলার নদিয়ার বাসিন্দা। নাম ঝন্টু আলি শেখ। ভারতীয় সেনার ৬ প্যারা রেজিমেন্টের সদস্য ছিলেন তিনি। গুলির লড়াই চলাকালীন ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। শহিদ জওয়ানের বীরত্ব প্রকাশ করে হোয়াইট নাইট কোর-এর তরফ থেকে একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লেখা হয়, 'কর্তব্যের প্রতি অবিচল থাকা ও সাহসের সঙ্গে তিনি যেভাবে লড়েছেন, তা চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে।' (আরও পড়ুন: ভারতের সঙ্গে অলআউট যুদ্ধ হলে পাক আর্মির কী হবে? CIA রিপোর্টে যা দাবি করা হয়েছিল)
আরও পড়ুন: পাক হাই কমিশনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল কেক, কারণ জানতে চাওয়া হলে...
এদিতে ঝন্টুর শহিদ হওয়ার ঘটনা পোস্ট করেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রও। তিনি নিজের পোস্টে লেখেন, 'কাশ্মীরের উধমপুরে সেনা ও জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াই করার সময় শহিদ হলেন হাভইলদার ঝন্টু আলি শেখ। তিনি নদিয়ার কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের তেহট্ট ব্লকের পাথরঘাটার বাসিন্দা ছিলেন। ঈশ্বর তাঁর বীর আত্মাকে শান্তি দিন।' জানা যায়, জানা যায়, জম্মু ও কাশ্মীরের উধমপুরের দুদু-বসন্তগড় এলাকায় সন্ত্রাসবাদী ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ যৌথ ভাবে সেখানে নিয়োজিত। বন্দুকযুদ্ধ চলছে। ঘটনায় দুই জওয়ান জখম হন, ঝন্টু শহিদ হন। (আরও পড়ুন: ভোটমুখী বিহারে প্রধানমন্ত্রী, পহেলগাঁও নিয়ে প্রথমবারের মতো মুখ খুললেন মোদী)
আরও পড়ুন: ভারত ছাড়ার নির্দেশ পাকিস্তানিদের, সীমা হায়দারকেও কি ফিরতে হবে দেশে?
এর আগে গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওতে পর্যটকদের ওপর হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। সেই ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। গুলি করার আগে পর্যটকদের ধর্ম নিশ্চিত করেছিল জঙ্গিরা। এমবই দাবি মৃতদের পরিবারের। সেই ঘাতকদের ধরতে মরিয়া কাশ্মীর পুলিশ। তাদের ধরতে তল্লাশিতে একাধিক কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এরই মাঝে জঙ্গিদের গ্রেফতার করার ক্ষেত্রে তাদের গতিবিধি সম্পর্কে খোঁজ দিতে পারলে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছে অনন্তনাগ পুলিশ। সেই সঙ্গেই অনন্তনাগ পুলিশ জানিয়ে দিয়েছে যিনি এই খবর দেবেন তার পরিচয় কঠোরভাবে গোপন রাখা হবে। সেই সঙ্গে দুটি ফোন নম্বর ও একটি ইমেল আইডি জানানো হয়েছে। ইতিমধ্য়েই পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় সন্দেহভাজন জঙ্গিদের ছবি প্রকাশ করেছে ভারত সরকার। হামলায় যুক্ত চার জঙ্গি হল- আদিল, আসিফ ফুজি, সুলেমান শাহ এবং আবু তালহা। ওই চার জঙ্গিই ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ)-এর সদস্য। মূলচক্রী সইফুল্লা খালিদ ওরফে সইফুল্লা কাসুরি এই জঙ্গিগোষ্ঠীর অন্যতম মাথা।