ইরান আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিল যে তাদের ওপর হামলা হলে তারা আমেরিকাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা নিজে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, মধ্যপ্রাচ্যে থাকা সব মার্কিন সামরিক ঘাঁটিকে নিশানা বানাবে ইরান। এই আবহে এবার গলা শুকিয়ে গিয়েছে আমেরিকার। আর তাই ইজরায়েল হামলা করতেই মার্কিন বিদেশ সচিব বিবৃতি জারি করে দাবি করেছেন, এই হামলার সঙ্গে আমেরিকার কোনও যোগ নেই। তিনি ইরানকে পালটা হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন, যাতে কোনও মার্কিন ঘাঁটির ওপর হামলা না করা হয়। (আরও পড়ুন: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছারিবাড়িতে হামলা নিয়ে ভারতের ধমক, মুখ খুলল বাংলাদেশ)
আরও পড়ুন: 'বন্ধু' ইরানে হামলা 'সখা' ইজরায়েলের, কী বার্তা দিল ভারত?
মার্কো রুবিও নিজের বিবৃতিতে বলেছে, 'আজ ইজরায়েল একতরফা ভাবে পদক্ষেপ করেছে। ইরানে হামলার ক্ষেত্রে আমেরিকার কোনও ভূমিকা নেই। আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার মার্কিন বাহিনীক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা। ইজরায়েল আমাদের বলেছিল যে এই হামলা তাদের আত্মরক্ষার্থে জরুরি ছিল। এই আবহে আমাদের সামরিক বাহিনীকে রক্ষা করতে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মধ্যপ্রাচ্যে আমাদের পার্টনারদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন তিনি।' (আরও পড়ুন: অভিশপ্ত এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে বেঁচে থাকা একমাত্র যাত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন PM মোদী)
আরও পড়ুন: ইরানের আকাশসীমা বন্ধের জেরে ঘোরানো হল বা ফিরল এয়ার ইন্ডিয়ার ১৫টি বিমান
তেহরানে ইজরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৬ জন ইরানি পরমাণু বিজ্ঞানী। সূত্র উদ্ধৃত করে রোয়া নিউজের রিপোর্টে এই দাবি করা হয়েছে। এদিকে তেহরানে ইজরায়েলের হামলায় মৃত্যু হল বিপ্লবী গার্ডের প্রধান হোসেন সলামির। সঙ্গে প্রাণ হারিয়েছেন ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মহম্মদ বাঘেরি। ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, তারা হামলা না চালালে ইরান ১৫টি পরমাণু বোমা বানিয়ে ফেলত। এদিকে ইরান জানিয়েছে, তারা আর আমেরিকার সঙ্গে আর পরমাণু চুক্তির আলোচনায় বসবে না। (আরও পড়ুন: কী হয়েছিল বোয়িংয়ের বিমানে? এয়ার ইন্ডিয়ার দুর্ঘটনা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন)
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, 'অপারেশন রাইজিং লায়ন'-এর অংশ হিসেবে শুক্রবার ইজরায়েলি বিমান বাহিনী ইরানের ওপর হামলা চালায়। ইজরায়েলি কর্মকর্তাদের মতে, ইরানের পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ সাইট, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্র এবং সামরিক নেতৃত্বকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছিল। ইরানি গণমাধ্যম ও প্রত্যক্ষদর্শীরা দেশটির প্রধান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র নাতাঞ্জসহ বেশ কয়েকটি স্থানে বিস্ফোরণের খবর দিয়েছে। ইরানের সম্ভাব্য প্রতিশোধের আশঙ্কায় ইজরায়েল জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে এবং সম্ভাব্য ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছে। নেতানিয়াহু একে 'ইজরায়েলের ইতিহাসের চূড়ান্ত মুহূর্ত' বলে অভিহিত করেছেন।