সংসদে একেবারে ফুলফর্মে নেমে পড়লেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এনিয়ে চতুর্থবার জিতে সংসদে গিয়েছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়। শ্রীরামপুরের সাংসদ।
তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আব কি বার ৪০০ পার। ওরা বলেছিল। খেলা শুরু হয়ে গেল। চু কিত কিতও তো খেলা। এরপরই স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে কল্যাণ বললেন, ‘কিত কিত কিত কিত…কিত কিত কিত কিত…কি হল! ২৪০।’ একেবারে হাততালিতে ফেটে পড়ে বিরোধী বেঞ্চ। কল্যাণ বলেন, 'স্যার আপনাকেই দেখছি। আপনার মতো এত স্মার্ট আর কেউ নেই স্যার। আপনাকে ছেড়ে তাকে দেখবেন এমনটাও হয় না। এখানে ভালো অভিনেত্রীও আসেন। কিন্তু সকলে আপনাকেই দেখেন। আপনি আপনার প্রতিশ্রুতি পূরণ করেননি। সেটা মন কী বাতে হতে পারে। সেটা দিল কি বাতে। মোদীজির গ্যারান্টি আছে। কিন্তু মোদিজীর গ্যারান্টিতে ওয়ারান্টি নেই স্যার। ’
প্রায় ২৮ মিনিট দীর্ঘ বক্তব্য রাখেন কল্যাণ। আর সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল এদিন রসিকতাপূর্ণ একাধিক মন্তব্য করেন তিনি। কিন্তু স্পিকার তাঁকে থামানোর চেষ্টা করেননি। এমনকী সাংসদরা তাঁর বক্তব্য বেশ ভালোই উপভোগ করেন। সব মিলিয়ে একেবারে পার্লামেন্টে জোরালো বক্তব্য রাখেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ তথা সুপ্রিম কোর্টের দাপুটে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
এবার শ্রীরামপুরে সিপিএম প্রার্থী দীপ্সিতা ধর এবং তৃণমূলের প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় পরস্পরের বিরুদ্ধে ভোটের লড়াইতে নেমেছিলেন। ভোটের লড়াইতে নেমেও তিনি একেবারে জোরালো আক্রমণ করেছিলেন বিরোধীদের।
সেই সময় দীপ্সিতা কটাক্ষ করে বলেছিলেন, ‘আমি ওঁকে খুঁজছিলাম কিন্তু দেখতে পেলাম না। উনি হয়তো মিস্টার ইন্ডিয়ার ঘড়িটা হাতে পড়েছেন। তাই ওঁকে দেখা যায়নি। এখন উনি আমাকে দেখে রাস্তায় নামলেন। ভোটের পরে একেবারে রাস্তায় নেমে যাবেন।’
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সেই সময় দীপ্সিতাকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, ‘কি করে দেখতে পাবে। আসলে ওতো মিস ইউনিভার্স। নিজেকে সোফিয়া লরেন ভাবা এখন থেকে শুরু করে দিয়েছে। সবাই দেখতে পাচ্ছে।’ তিনি আরও বলেছিলেন, ‘দীপ্সিতা কোনও আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত নন। হেরে ভূত হয়ে যাবে। আবার চলে যাবে।’ সিপিএমকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘ওরা হল নতুন বোতলে পুরনো মদ। আসলে সিপিএম সিপিএমেই আছে। বোতলটার এখন ব্রান্ডিং হয়েছে কমরেড জেএনইউ। ও এরকম ভাবেই চালিয়ে যাবে। আর আমাকে বলে যেতে হবে।’
শেষ পর্যন্ত জিতে যান কল্যাণ। আর তারপর সংসদে গিয়ে ফের জোরালো আক্রমণ বিরোধীদের।