ভারত ও ভুটানের মধ্যে রেল যোগাযোগ স্থাপনে সম্মত দুই দেশ। ভুটানের বিদেশ সচিব আউম পেমা চোডেন এবং ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি দিল্লিতে এই রেল প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করেন। রেল প্রকল্পগুলির বিষয়ে বিশদ পর্যালোচনা করে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন দু'জনেই। উল্লেখ্য, গত বছর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভুটান সফরে গিয়েছিলেন। সেই সময় তিনি এই রেল প্রকল্পের বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন। আর গতকাল সেই চুক্তিতে আনুষ্ঠানিক ভাবে শিলমোহর পড়েছে। পরে এই নিয়ে ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি বলেন যে এই প্রকল্পটি ভুটানের দুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শহর, গেলফু এবং সামৎসেকে যুক্ত করবে ভারতের সঙ্গে। চুক্তি অনুযায়ী, কোকরাঝার-গেলেফু এবং বানারহাট-সামৎসের মধ্যে দুটি আন্তঃসীমান্ত রেল স্থাপন করা হবে।
এদিকে চুক্তি হতেই ভারত এবং ভুটানের মধ্যে মোট ৮৯ কিলোমিটার দীর্ঘ রেললাইন প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে শীঘ্রই। ভারত-ভুটান লপথের একটি অসমের এবং একটি পশ্চিমবঙ্গের ওপর দিয়ে যাবে। রেলমন্ত্রক জানিয়েছে, ওই দু’টি রেল প্রকল্পের জন্য খরচ হবে প্রায় ৪০৩৩ কোটি টাকা। পশ্চিমবঙ্গের বানারহাট থেকে ভুটানের সামৎসে পর্যন্ত রেলপথটি আগামী তিন বছরের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
বানারহাট থেকে সামৎসে রেলপথে থাকবে দু’টি স্টেশন। ওই পথে একটি বড় উড়ালপুল তৈরি করা হবে। এ ছাড়া থাকবে ২৪টি ছোট উড়ালপুল, ৩৭টি ভূগর্ভস্থ পথ। এদিকে কোকরাঝাড় এবং গেলেফুর মধ্যে যে রেলপথ তৈরি হবে, তাতে থাকবে ৬টি স্টেশন। এছাড় সেই রুটে তৈরি করা হবে দু’টি উঁচু সেতু, ২৯টি বড় সেতু, ৬৫টি ছোট সেতু এবং একটি উড়ালপুল। চার বছরের মধ্যে অসমকে ভুটানের সঙ্গে জুড়ে ফেলার পরিকল্পনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। এদিকে ব্যবসায়ীরা যাতে এই রেলপথ ব্যবহার করতে পারেন, এর জন্য কোকরাঝাড় থেকে গেলেফুর রুটে দু’টি গুদামঘরও তৈরি করবে রেল।