এক আদিবাসী তরুণীকে গণধর্ষণ করার অভিযোগে উত্তাল খাগড়াছড়ি। জানা গিয়েছে, খাগড়াছড়ির গুইমারায় মারমা জনজাতির এক স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ করা হয়েছিল। এই ঘটনায় সঠিক তদন্তের দাবিতে রাস্তায় নেমে এসেছিলেন মারমা জনজাতির লোকজন। আর সেই প্রতিবাদীদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে দেয় বাংলাদেশি সেনা। ঘটনায় ৩ মারমা তরুণের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের বয়স ২০ থেকে ২২ বছরের মধ্যে। সেনার গুলিতে মৃত তিনজন হলেন তৈইচিং মারমা(২০), আথুইপ্রু মারমা(২১) এবংআখ্রাউ মারমা(২২)। এদিকে হিংসার ঘটনায় সেনাবাহিনীর একজন মেজরসহ ১৬ সদস্য ও গুইমারা থানার ওসিসহ ৩ জন আহত হন।
এদিকে এই ঘটনায় ভারতের দিকে আঙুল তুললেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী। কোনও প্রমাণ বা যুক্তি ছাড়াই তিনি অভিযোগ করেন, স্থানীয়দের আন্দোলনের নেপথ্যে ভারতর হাত থাকতে পারে। এদিকে যে ঘটনা নিয়ে এই আন্দোলন, সেই গণধর্ষণের তদন্ত নিয়ে সুস্পষ্ট কিছু বলেননি জাহাঙ্গির। এই ইস্যু প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে সংবাদমাধ্যমকে জাহাঙ্গির বলেন, 'একটা মহল চায় এই উৎসবটা যেন ভাল ভাবে উদ্দীপনার সঙ্গে শান্তিপূর্ণ ভাবে না হতে পারে। ভারতের ইন্ধনে বা ফ্যাসিস্টদের ইন্ধনে এই ঘটনাটা ঘটানো হচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা খাগড়াছড়িতে রয়েছেন এবং এ বিষয়টি তদারকি করছেন।'
এদিকে খাগড়াছড়ির পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় পাহাড়ি ও বাঙালিদের সংগঠনের নেতাতেদর বৈঠক হয়। উত্তপ্ত পরিস্থিতির আবহে খাগড়াছড়ি জেলা সদর ও পৌর এলাকায় গত শনিবার থেকেই ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। সেই কার্ফু আজও বহাল রয়েছে বলে জানা গিয়েছে বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে। তবে এই ঘটনাকে ঘিরে ঢাকা এবং চট্টগ্রাম মহাসড়কে যে অবরোধ চলছিল। তা শিথিল হয়েছে। এদিকে সেই এলাকার গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতে সেনাবাহিনী ও বিজিবি চেকপোস্ট বসিয়েছে। এদিকে এই হিংসার কারণে সাজেকে আটকে পড়েছিলেন কয়েকশো পর্যটক। তাদের সাজেক থেকে খাগড়াছড়ি নিয়ে এসেছে সেনা।