অপরাধীরা মোবাইল সেটে নতুন সফটওয়্যার ইনস্টল করে ১৫ ডিজিটের আইএমইআই বদলে দেওয়ার ফলে তদন্তে বড় বাধা দেখা দিয়েছে। ব্লক করা মোবাইলও প্রযুক্তি বদলে পুনরায় ব্যবহার করা হচ্ছে। তাই আইএমইআই-ভিত্তিক অনুসন্ধানে যান্ত্রিক সীমা তৈরি হওয়া ও তথ্যের অভাব মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশব্যাপী মোবাইল আইএমইআই-র একটি কেন্দ্রীভূত ডাটাবেস বানানো হবে এবং ওই তথ্য একটি সরকারি পোর্টালে আপলোড রাখতে বলা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: পুজোর পাস বিক্রিতে শহরে সক্রিয় প্রতারণা চক্র! পুলিশে যাচ্ছে ফোরাম ফর দুর্গোৎসব
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন রাজ্যের পুলিশ আইএমইআই ব্লক করলেও অন্যত্র সফটওয়্যার বদলে সেই হ্যান্ডসেটগুলো আবার কাজে লাগানো হচ্ছে। তাছাড়া, এখন পর্যন্ত ব্লক বা তদন্তাধীন হ্যান্ডসেট সম্পর্কে কেন্দ্রীয়ভাবে কোন ডাটাবেস না থাকায় তথ্য আদান-প্রদান ধীরগতি ছিল। এই ফাঁক মেটাতে দিল্লি তৎপর হয়েছে। প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত পরিকাঠামো তৈরির কাজ চলছে। দেশজুড়ে উৎপাদিত কিংবা বাজারে আসা সমস্ত মোবাইলের আইএমইআই-র রেকর্ড কেন্দ্রীয় পোর্টালে আপলোড করতে হবে। পুলিশের তদন্তকারীরা প্রয়োজনে ওই পোর্টাল থেকে আইএমইআই মিলিয়ে দ্রুত হ্যান্ডসেট শনাক্ত ও ব্লক বা অকেজো করার তৎপরতা চালাতে পারবে।
বন্ধ বা ব্যবহার না হওয়া আইএমইআই কোনও নতুন সেটে পুনরায় ব্যবহার করা যাবে না বলেও মন্ত্রক সূত্রের খবর। পুরনো হ্যান্ডসেট কেনাবেচা ব্যবসায়ীদেরও সরকারি পোর্টালে আইএমইআই যাচাই করে নিতে বলা হচ্ছে। যাচাই সেবার জন্য একটি সিমিত ফি ধার্য করা হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বক্তব্য অনুযায়ী, এই পোর্টাল ও ডাটাবেস চালু হলে আইএমইআই-ভিত্তিক তদন্তে রাজ্য-রাজ্য সীমান্তঅতিক্রম করে এক রাজ্যে ব্লক করা মোবাইল অন্যত্র ব্যবহার হওয়ার ক্ষেত্রে দ্রুত শনাক্তকরণ সম্ভব হবে এবং জালিয়াতি-ভিত্তিক অপরাধ ঠেকানো যাবে।
মন্ত্রকের প্রস্তাবনায় মোবাইল নির্মাণ সংস্থা ও আমদানি-বিক্রয় সংস্থাগুলোকে প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে বলা হচ্ছে এবং পুরনো আইএমইআই পুনর্ব্যবহারের দিকে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই নিয়মনীতিও মন্ত্রকের পরিকল্পনার অংশ। সরকারি পর্যায়ে পোর্টাল চালু করার প্রস্তুতি শেষ হলে রাজ্য পুলিশ ও কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাগুলোকে সেখানে প্রবেশাধিকার দিয়ে আইএমইআই-ভিত্তিক অনুসন্ধান দ্রুত করতে দেওয়া হবে। এটাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের লক্ষ্য।