প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ৭৫ তম জন্মদিন। দেশ ও বিশ্বজুড়ে শুভেচ্ছা বার্তা আসছে। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু থেকে শাসকদলের নেতৃত্ব তো বটেই প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছায় ভরালেন বিরোধী দলের নেতারাও। একে একে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। শুধু তাই নয়, গোটা বিশ্ব থেকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে। তালিকায় রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীরা। প্রধানমন্ত্রী মোদীর ৭৫তম জন্মদিনে, তাঁর দীর্ঘ ও সুস্থ জীবনের জন্য দেশজুড়ে প্রার্থনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির শুভেচ্ছা
বুধবার প্রধানমন্ত্রীর ৭৫ তম জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিনে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। কঠোর পরিশ্রম ও আপনার অসাধারণ নেতৃত্বের মাধ্যমে, আপনি দেশে বড় লক্ষ্য অর্জনের সংস্কৃতি স্থাপন করেছেন। এখন বিশ্ব সম্প্রদায়ও আপনার নির্দেশনার প্রতি তাঁদের বিশ্বাস প্রকাশ করছে। আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, আপনি চিরকাল সুস্থ ও সুখী থাকুন এবং আপনার অতুলনীয় নেতৃত্বের মাধ্যমে আপনি দেশকে অগ্রগতির নতুন উচ্চতায় নিয়ে যান।'
রাজনাথ সিং
বুধবার সকালে এক্স পোস্টে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং জানান, ভারতের যশস্বী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ৭৫তম জন্মদিনে আন্তরিক শুভেচ্ছা। দূরদর্শী নেতৃত্ব, দেশের প্রতি নিষ্ঠা এবং অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে, মোদীজি ভারতকে নতুন শক্তি এবং নতুন দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি বিশ্ব মঞ্চে ভারতের শক্তি এবং সম্মান বৃদ্ধি করেছেন। রাজনাথ সিং আরও উল্লেখ করেছেন, প্রধানমন্ত্রী তাঁর আশ্চর্যজনক নেতৃত্ব ক্ষমতা, কল্পনাশক্তি এবং সংবেদনশীলতা দেখিয়েছেন। দরিদ্র কল্যাণ এবং জনকল্যাণের প্রতি তাঁর অঙ্গীকার একটি উদাহরণ। বিকশিত ভারতের সংকল্প নিয়ে, মোদীজি আত্মনির্ভরতা, উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে দেশকে শক্তিশালী করছেন। আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, তিনি সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু এবং অবিরাম শক্তি পান যাতে তিনি ভারতকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে সফল হন।প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এদিন স্মৃতিচারণ করে বলেছেন, 'কিছু অভিজ্ঞতা এমন যা ইতিহাসের দিকনির্দেশনা নির্ধারণ করে। প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে আমার প্রথম সংযোগও এই ধরণের ছিল। ঝাঁসিতে, তাঁর বক্তৃতার সময়, আমি ভবিষ্যতের নেতৃত্বের উজ্জ্বলতা দেখেছি। শৃঙ্খলা, সংগঠনের প্রতি নিষ্ঠা, গভীর জ্ঞান এবং প্রতিটি চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার সাহস এই গুণাবলীই তাঁকে ভারতকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার নেতা করে তুলেছে।'
কংগ্রেস নেতৃত্বের শুভেচ্ছা
লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেও প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এক্স পোস্টে মল্লিকার্জুন খাড়গে লিখেছেন, 'প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিনে শুভেচ্ছা। তিনি সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ু লাভ করুন।' অন্যদিকে, রাহুল গান্ধী এক্স বার্তায় বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিনে সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।' সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের এবং প্রধানমন্ত্রী মোদীর একটি ছবি শেয়ার করে বর্ষীয়ান কংগ্রেস লিখেছেন, 'প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। আগামী বছরটি সুস্বাস্থ্য এবং জাতির সেবার সাফল্যে ভরে উঠুক।'
শরদ পাওয়ার
এনসিপি (এসপি) প্রধান শরদ পাওয়ারও প্রধানমন্ত্রী মোদীর জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, 'আপনার সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ু কামনা করি। আপনার দক্ষ নির্দেশনায় আমাদের দেশের অগ্রগতি অব্যাহত থাকুক এবং আগামী বছরগুলিতে বৃহত্তর কল্যাণ ও উন্নয়নের জন্য আমি উন্মুখ হয়ে রয়েছি।'
নির্মলা সীতারমন
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেছেন, 'জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দীর্ঘায়ু কামনা করছি। ভারতের স্বার্থকে সর্বোপরি প্রাধান্য দেওয়ার তাঁর অটল অঙ্গীকার আমাদের জনগণ স্বীকৃতি দিয়েছে, যারা তাঁকে আশীর্বাদ করছে। তাঁর নেতৃত্ব সকল ভারতীয়ের জন্য স্থিতিশীলতা, দৃষ্টিভঙ্গি এবং অগ্রগতি প্রদান করেছে।'
পীযূষ গোয়েল
কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, 'প্রধানমন্ত্রী তাঁর জীবন দেশের সেবায় নিবেদন করেছেন। আমি তাঁকে শুভেচ্ছা জানাই এবং ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি যে তিনি দীর্ঘ ও সুস্থ জীবন দান করুন। তিনি সর্বদা দেশের প্রতিটি নাগরিকের কাছে কল্যাণমূলক প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছানোর জন্য কাজ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে ভারতজুড়ে বিভিন্ন স্থানে সেবামূলক কর্মসূচি আয়োজন করা হচ্ছে। বিজেপি 'সেবাপক্ষ' নামে এই দিনটি পালন করছে। একদিকে যেমন ট্রাম্প ও মেসির মতো আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বদের বার্তা আসছে, অন্যদিকে দেশের নানা প্রান্তে সাধারণ মানুষও নানা উপায়ে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। এবারের জন্মদিন তাই শুধুমাত্র ব্যক্তিগত আনন্দের নয়, বরং ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক, আন্তর্জাতিক ক্রীড়া-সংযোগ এবং রাজনৈতিক ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে গেল আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।