কেরিয়ারের চেয়ে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অধিক আলোচনায় থাকেন মালাইকা আরোরা। আরবাজ খানের সঙ্গে তাঁর ডিভোর্স হোক বা হাঁটুর বয়সী অর্জুন কাপুরের সঙ্গে প্রেম-বিচ্ছেদ, মালাইকাক নিয়ে চর্চা যেন থামে না! যদিও ট্রোলারদের কোনওদিনই পাত্তা দেন না অভিনেত্রী।
সাহসী,স্পষ্টবাদী মালাইকা হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন যে ‘বড্ড সাহসী’ এবং ‘স্পষ্টবাদী’ হওয়ার জেরে আজীবন কোন কোন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন তিনি। নিজের নামের সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকা এই ট্যাগকে নিয়ন্ত্রণ করা কতটা কঠিন ছিল? পিছনে ফিরে তাকিয়ে মালাইকা বলেন তাঁকে ঘিরে তৈরি সমালোচনা এবং মানুষের জাজমেন্ট নিয়ে একটা সময় তিনি মাথা ঘামানো বন্ধ করে দেন। জানান, ‘নিজেকে নিজের কাছে আর ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন বোধ করি না। এটি কঠিন ছিল কারণ লোকেরা আপনাকে জ্ঞান দিতে পছন্দ করে যে আপনার কী হওয়া উচিত বা কী হওয়া উচিত নয়। আমার কেরিয়ার, আমার পোশাক, আমার সম্পর্কের জন্য আমাকে বিচার করা হয়েছিল। তবে যেদিন আমি নিজেকে ব্যাখ্যা করা বন্ধ করে দিয়েছিলাম সেদিন আমি মুক্তবোধ করেছিলাম। নিজেকে নিয়ে আমি যে আখ্যান লিখব একমাত্র সেটাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ'।
মালাইকা আরও বলেন, ‘আমাকে খুব সাহসী, খুব স্পষ্টভাষী এইসব বলা হয়েছে। এবং সত্যি বলতে? আমি এখন এটি মুকুটের মতো পরিধান করি। যদি আমি কারও জন্য ‘খুব বেশি’ হই, তবে তারা সম্ভবত আমার পক্ষে যথেষ্ট নয়।’
মালাইকা মনে করেন,'আমি বিশ্বাস করি যে সত্যিকারের আত্মবিশ্বাস তখনই আসে যখন আপনি বিশ্বের জন্য পারফর্ম করা বন্ধ করেন এবং নিজের জন্য বাঁচতে শুরু করেন'।
মালাইকা অরোরার ব্যক্তিগত জীবন
আরবাজ খানের সঙ্গে ১৯ বছরের বিয়ে টেকেনি। ২০১৭ সালের মে মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহবিচ্ছেদ হয় দুজনের। সম্প্রতি শুরা খানকে বিয়ে করেছেন আরবাজ। আরবাজ ও মালাইকার একমাত্র পুত্র আরহান। আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদের আগে বয়সে ছোট অর্জুন কাপুরকে ডেট করা শুরু করেন মালাইকা। এই প্রেম নিয়ে যেমন কটাক্ষ শুনেছেন, তেমনই বিচ্ছেদের পর অনলাইনে ট্রোলিংয়ের মুখে পড়েছিলেন মালাইকা।
বিয়ে বা প্রেম না টিকলেও দুঃসময়ে মালাইকার পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁর দুই প্রাক্তন। গত ১১ সেপ্টেম্বর মুম্বইয়ে মালাইকার সৎ বাবা অনিল মেহতা আত্মহত্যা করেন। সেই কঠিন সময়ে মালাইকা ও তাঁর গোটা পরিবারের পাশে দাঁড়ান অর্জুন-আরবাজ।