পহেলগাঁও হামলার পর ৭ মে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা। সেই ঘটনায় বহাওয়ালপুরেও হামলা করেছিল ভারতীয় বাহিনী। সেখানে মাসুদ আজহারের পরিবারের সদস্যরা প্রাণ হারায়। সেই কথা নিজে মুখে স্বীকার করেছে জইশ-ই-মহম্মদের এক কমান্ডার। আর জইশ কমান্ডারের সেই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আজ প্রতিক্রিয়া দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
মোদী বলেন, 'এটি একটি নতুন ভারত যে কোনও পরমাণু হুমকিকে ভয় পায় না। একই সঙ্গে তিনি বলেন, 'গতকাল এক পাকিস্তানি সন্ত্রাসী কাঁদতে কাঁদতে নিজের অবস্থা জানিয়েছে। মোদী বলেন, 'গতকাল দেশ ও বিশ্ব দেখেছে, একজন পাকিস্তানি জঙ্গি কাঁদতে কাঁদতে নিজের অবস্থার কথা জানিয়েছে। এটা নতুন ভারত। আমরা কারও পরমাণু বোমাকে ভয় পাই না। আমরা বাড়িতে ঢুকে মারি।'
তিনি আরও বলেন, ভারতমাতার সুরক্ষা দেশের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। পাকিস্তানি সন্ত্রাসীরা আমাদের বোন ও মেয়েদের সিঁদুর মুছে ফেলেছে। আমরা অপারেশন সিঁদুর করেছি এবং সন্ত্রাসবাদী শিবিরগুলি ধ্বংস করেছি। আমাদের সাহসী সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তানকে চোখের পলকে হাঁটু গেড়ে বসিয়ে দিয়েছে। আজকের দিনে সর্দার প্যাটেলের ইস্পাত ইচ্ছাশক্তির উদাহরণ দেখেছিল দেশ। ভারতীয় সেনাবাহিনী হায়দরাবাদকে অনেক অত্যাচার থেকে মুক্ত করেছিল। দশকের পর দশক ধরে দেশের এত বড় সাফল্য এবং সেনাবাহিনীর মহান বীরত্বের কথা কেউ মনে করতে পারেনি। কিন্তু আপনারা আমাকে সুযোগ দিয়েছেন এবং আমাদের সরকার হায়দরাবাদের ১৭ সেপ্টেম্বরের ঘটনাকে অমর করে দিয়েছি। আমরা এই দিনটিকে হায়দ্রাবাদ মুক্তি দিবস হিসাবে উদযাপন করতে শুরু করেছি, যা ভারতের ঐক্যের প্রতীক।'
পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন জইশ শীর্ষ কমান্ডার মাসুদ ইলিয়াস কাশ্মীরির এক ভিডিয়ো সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। তাতে তাকে বলতে শোনা গিয়েছে, ভারতের 'অপারেশন সিঁদুর' অভিযানে জইশ-ই-মহম্মদের (জেইএম) প্রধান মাসুদ আজহারের পরিবার সদস্যদের দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে। ইলিয়াস কাশ্মীরিকে ব্যাখ্যা করতে শোনা যাচ্ছে যে, ৭ মে কীভাবে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী তাদের আস্তানায় প্রবেশ করে আক্রমণ চালিয়েছিল। ভাইরাল ক্লিপে কাশ্মীরি উর্দুতে মাসুদ ইলিয়াস বলেছে, 'আমরা এই দেশের সীমান্ত রক্ষার জন্য দিল্লি, কাবুল এবং কান্দাহারের সঙ্গে লড়াই করেছি। সবকিছু ত্যাগ করার পর, ৭ মে, বাহাওয়ালপুরে ভারতীয় বাহিনী মৌলানা মাসুদ আজহারের পরিবারকে টুকরো টুকরো করে ফেলেছিল।' যদিও ওই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।