দিল্লির কর্তব্যপথে প্রজাতন্ত্র দিবস ঘিরে তখন ভিভিআইপি থেকে ভিআইপিদের ভিড়। দেশের তাবড় ব্যক্তিত্বরা তখন সবে প্রবেশ করছেন সেখানে। আগেই কর্তব্যপথে সমারোহে পৌঁছে যান নরেন্দ্র মোদী। তিনি সেই সমারোহের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়কে সাদরে গ্রহণ করতে এগোচ্ছিলেন। তখনই মোদীর চোখে পড়ে চলার পথে আবর্জনার কিছু অংশ। কাউকে কিছু না বলেই, ওই আবর্জনা নিজের হাতে তুলে নিয়ে সাফ করতে উদ্যত হন প্রধানমন্ত্রী।
‘স্বচ্ছ্ব ভারত অভিযান’ নিয়ে মোদী সরকার প্রথম থেকেই একের পর এক পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নিজেও বিভিন্ন সময়ে এই উদ্যোগে শামিল হয়েছেন। এবার প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন, তিনি ফের একবার কর্তব্যপথের সমারোহে পড়ে থাকা আবর্জনা তুলে নিয়ে আরও একবার বার্তা স্পষ্ট করলেন। আবর্জনার অংশ মোদী নিজের হাতে তুলে তা পাশে দাঁড়িয়ে থাকা রক্ষীর হাতে দিয়ে দেন। তারপর চিরাচরিত প্রথা মেনে তিনি যেমন উপরাষ্ট্রপতিকে গ্রহণ করতে যাচ্ছিলেন, তেমনই চলে যান। বাকি সবটাই প্রথা মেনে করতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীকে। এই গোটা অংশের ভিডিয়ো হয়েছে ভাইরাল। দেশের গণতান্ত্রিক উৎসব উদযাপনের মধ্য়ে, প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগ কেড়েছে নজর।
উল্লেখ্য, গত নভেম্বর মাসে ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে কানপুরে গঙ্গা পরিচ্ছন্ন করার উদ্যোগ ঘিরে এক গোষ্ঠীর সক্রিতার খুবই প্রশংসা উঠে এসেছিল প্রধানমন্ত্রীর কণ্ঠে। তিনি বহু দিন আগেই, দেশের মন্দিরগুলিও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার বিষয়ে সরব হয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী নিজে পরিচ্ছন্নতার সেই অভিযোগে অংশ নেন। আর প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন দিল্লিতে রথী, মহারথীদের সমারোহের মাঝে এক ফোঁটাও অস্বস্তিবোধ না করে প্রধানমন্ত্রীকে সাবলীলভাবে ওই আবর্জনা তুলে ফেলার উদ্যোগে দেখা গেল। নিঃসন্দেহে কেন্দ্রের,' স্বচ্ছ্ব ভারত' অভিযানের ক্ষেত্রে এটি বড় একটি উদ্যোগ। উল্লেখ্য, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫ সালের সমারোহে চলতি বছরে ভারতের প্রধান অতিথি ছিলেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবয়ো সুবিয়ান্তো। রবিবারের এই অনুষ্ঠানে দিল্লিতে বর্ণাঢ্য আয়োজন দেখা যায়। পতাকা উত্তোলন করেন দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। ২১ তোপের সেলাম জানিয়ে শুরু হয় প্রজাতন্ত্র দিবসের উদযাপন। সেই উদযাপনের স্থলে মোদীকে ঘিরে ওই ভিডিয়ো হয়েছে ভাইরাল।