মঙ্গলবার জম্মু ও কাশ্মীরে হামলার খবর পেতেই নিজের সৌদি সফর কাটছাঁট করে দিল্লির রওনা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকালেই তিনি সৌদির সফরে গিয়েছিলেন। তবে পহেলগাঁওতে জঙ্গি হানার খবর পেতেই তিনি দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন। বুধবার সকালেই তিনি দিল্লি বিমানবন্দরে পৌঁছন। জানা যাচ্ছে, দিল্লি বিমানবন্দরেই তিনি জাতীয় উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, বিদেশমন্ত্রী জয়শংকরকে নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেন।
দিল্লিতে নেমে আজ বুধবার ডোভাল ও জয়শংকরের সঙ্গে এই বৈঠক ছিল কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার পরে মোদীর প্রথম বৈঠক। এদিকে, জঙ্গি হামলার পর আজ থমথমে কাশ্মীর। কী পরিস্থিতি সেখানের পর্যটকদের? দেখে নেওয়া যাক। উল্লেখ্য, বুধবার সকাল থেকেই থমথমে কাশ্মীরের পহেলগাঁও। সেখান থেকে সকালেই দলে দলে পর্যটকদের ফিরে যেতে দেখা যাচ্ছে। পর্যটক সমীর ভরদ্বাজ বলছেন, ‘আমি গত ৩ দিন ধরে কাশ্মীরে ছিলাম। আমাদের পহেলগাঁওতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। তবে পরিস্থিতি এখানে ভালো নয়। আমরা ফিরে যাচ্ছি দিল্লি।’ এদিকে, শ্রীনগর থেকে বাড়তি বিমান চালু করে দিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া, ইন্ডিগো।
কী বলছেন কাশ্মীরের ট্যাক্সি চালকরা?
ভূস্বর্গে পর্যটকদের ওপর হামলার জেরে মঙ্গলবার রাতেই কাশ্মীরের বুকে মোমবাতি মিছিল করেন সেখানের ট্যাক্সিচালকরা। প্রসঙ্গত, এই ঘটনা কাশ্মীরের পর্যটন ব্যবসায় প্রভূত ক্ষতি ডেকে এনেছে। কাশ্মীরের ট্যাক্সি চালকরা বলছেন,'আমি এই হামলার তীব্র নিন্দা করছি। এটা শুধু পর্যটকদের সঙ্গে ঘটেনি, আমাদের রোজগারের সঙ্গে হয়েছে, আমাদের পরিবারের সঙ্গে হয়েছে। আমরা ওঁদের পর্যটক মনে করিনা, ওঁরা আমাদের পরিবার। আমাদের পরিবারকে খুন করা হয়েছে।' তাঁদের আবেদন, যারাই এটা করে থাকুক না কেন, তারা যেন কড়া সাজা পায়।