কাশ্মীরে জঙ্গি হানা। নিরীহ পর্যটকের উপর গুলি চালিয়েছে জঙ্গিরা। এরপরই হুঙ্কার কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের। কার্যত পালটা প্রত্যাঘাতের হুঁশিয়ারি। ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, অনলাইন ফ্লাইট ট্র্যাকিং ডেটার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত নাভাল মেরিটাইম পাইলট কমান্ডার সন্দীপ ধাওয়ান এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, পাকিস্তানি এয়ার ফোর্স সি-১৩০পাক অধিকৃত কাশ্মীরের কাছে চক্কর কাটছে পাকিস্তানের এয়ারফোর্স সি-১৩০। আমাদের প্রতিক্রিয়ার জন্য কি তারা প্রস্তুতি নিচ্ছে? ওরা কি ওই এলাকায় আরও জঙ্গি মোতায়েন করছে? উভয় দিকেই উত্তাপ বাড়ছে।
ইজিপ্টের সাংবাদিক খালেদ মহম্মদের সংযোজন পাকিস্তান এয়ারফোর্সকে হাই অ্যালার্টে রেখেছে।
ওই প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, প্রাক্তন জম্মু ও কাশ্মীরের ডিজিপি এসপি বৈদ জানিয়েছেন, এটা একেবারে পরিকল্পিত হামলা। আমি আগেও এটা বলেছি। এরা হল পাকিস্তানের এসএসজি কমান্ডো। জঙ্গির ছদ্মবেশে এসেছিল। বিস্ফোরক দাবি করেছেন তিনি।
কার্যত বিরাট দাবিকে সামনে এনেছেন তিনি।
এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও জানিয়েছেন, কয়েকদিন আগে পাকিস্তানের সেনা প্রধান আসিম মুনির একটা বিবৃতি জারি করেছিলেন। তারপরই এই ধরনের হামলা দেখলেন। মুনির জেহাদি ভাষা প্রয়োগ করছিল। এই হামলাটা তেমন কায়দাতেই হয়েছিল। এই জবাবটাও তেমনই হওয়া দরকার যেভাবে ইজরায়েল করেছিল হামাসের বিরুদ্ধে। এর একটা যোগ্য জবাব দেওয়া দরকার।
এদিকে পাকিস্তানের গ্রুপ দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট দায় স্বীকার করেছে বলে খবর। এটা আসলে লস্কর ই তৈবারই একটা আলাদা রূপ। কাশ্মীরে দুপুর আড়াইটে নাগাদ হয়েছিল এই ভয়াবহ হামলা। একেবারে গণহত্যা। এদিকে কাশ্মীরের এই হামলার জেরে ক্ষোভে ফুঁসছে সেখানকার সাধারণ মানুষও। শ্রীনগরে সাধারণ বাসিন্দারাও এই হামলার বিরুদ্ধে রাস্তায় নামতে শুরু করেছেন। তাদের দাবি, এরপর যদি পর্যটকরা কাশ্মীর থেকে তাদের মুখ ফিরিয়ে নেয় তাহলে কাশ্মীরের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কার্যত ভেঙে পড়বে। সেকারণেই এবার রাস্তায় নামতে শুরু করেছেন কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ।
ইতিমধ্যেই কাশ্মীর ট্যুর বাতিল করছেন অনেকেই। কারণ অনেকেই আতঙ্কে এখনই আর কাশ্মীরে যেতে চাইছেন না। যারা কাশ্মীরে রয়েছেন তারাও চলে আসতে চাইছেন। আপাতত ঘরে ফিরতে পারার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন তারা। পহেলগাঁওতে ভয়াবহ জঙ্গি হানা। তারপর থেকেই এবার কিছুদিনের মধ্য়েই যাঁরা কাশ্মীরে যাবেন বলে ভেবেছিলেন তাঁদের অনেকেই এখন সেই কাশ্মীর ট্যুর বাতিল করতে চাইছেন। কারণ একটাই আতঙ্ক। একের পর এক ছবি ভাসছে সোশ্য়াল মিডিয়ায়। সেই ছবি দেখে শিউরে উঠছেন অনেকেই।