‘লোকাল পুলিশের কোনও দায়িত্ব নেই?’ সংবাদমাধ্যমকে সামনে পেয়েই যাবতীয় ক্ষোভ উগড়ে দিলেন বিতানের মামা ও ভগ্নিপতি। পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলায় মঙ্গলবার দুপুরে প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ জন পর্যটক। তাদের দলেই ছিলেন কলকাতার পাটুলিনিবাসী বিতান অধিকারী। ফ্লোরিডাতে একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কর্মরত বিতান বাড়ি ফিরেছিলেন ছুটি নিয়ে। কাশ্মীর ঘুরতে গিয়েছিলেন বাংলা নববর্ষ শুরু হওয়ার কিছুদিন পর। কিন্তু ভূস্বর্গ যে অধিকারী পরিবারের জীবনে ভয়ঙ্কর অধ্যায় টেনে আনবে, তা কে জানত!
‘এতক্ষণ পুলিশ কী করছিল?’
বুধবার দুপুরে কথা হচ্ছিল বিতানের মামা শঙ্কর চক্রবর্তীর সঙ্গে। দৃশ্যতই মুষড়ে পড়েছেন গোটা ঘটনায়। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে তিনি বললেন, ‘গতকাল রাত আড়াইটে নাগাদ ওদের সঙ্গে কথা হয়। তার আগে পর্যন্ত সব যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। সবাইকে নাকি নিম্নাঙ্গের পোশাক খুলে খুলে পরখ করছিল জঙ্গিরা। শুনে অবাক হয়েছি, এতক্ষণ ধরে পরখ করে গুলি করল, তখনও পুলিশ খবর পেল না?’
আরও পড়ুন - Rajnath Singh: শীঘ্রই পহেলগাঁও হামলার যোগ্য জবাব দেওয়া হবে, কাউকে রেহাই নয়, হুংকার রাজনাথের
‘নিম্নাঙ্গের পোশাক খুলে’
HT বাংলাকে শঙ্করবাবু আরও বললেন, ‘গতকাল সোহিনীর সঙ্গে কথা হওয়ার সময় ও বলে, প্রথমেই সকলকে জিজ্ঞেস করে নাম। তার পর নিম্নাঙ্গের পোশাক খুলে গোপনাঙ্গ পরখ করে দেখেছে। গায়ের পৈতে দেখেছে। তার পর গুলি করেছে। বিতানের বুকের বাঁদিকে গুলি লেগেছিল। সঙ্গে সঙ্গে সব শেষ। পরে তো হাসপাতাল নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বাঁচানো যায়নি।’
‘কপালে এই লেখা, তা কে জানত’
অন্যদিকে ভগ্নিপতি শ্রীবাস চক্রবর্তীর কথায়, ‘বিতান ছোট থেকেই ঘুরতে ভালোবাসত। মাঝে মাঝেই নানা জায়গায় ঘুরতে যেত। কাশ্মীরটা অনেক দিন ধরেই ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছে ছিল। ইচ্ছে ছিল ভূস্বর্গ দেখে আসবার। কিন্তু ওর যে এই ললাটলিখন, তা কে জানত।’