শিক্ষাক্ষেত্রে আবারও কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে সরব হলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। উচ্চশিক্ষার পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের ‘পেয়ার’ প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। কিন্তু, সেই তালিকায় অন্যান্য রাজ্যগুলির বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম থাকলেও বাংলার কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নেই। এই নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ‘নিজেরাই নিজেদের বিপদ টেনে আনছেন….’, চাকরিহারাদের আদালতের জুজু দেখালেন ব্রাত্য
পেয়ার (PAIR) প্রকল্প কী?
কেন্দ্রীয় সরকারের সরকার উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে বিশেষত বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে গবেষণার ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য পার্টনারশিপস ফর অ্যাকাডেমিক অ্যান্ড ইনস্টিটিউশনাল রিসার্চ (পেয়ার) প্রকল্পটি চালু করেছে। এর লক্ষ্য হল যে প্রতিষ্ঠানগুলিতে গবেষণার সীমিত পরিকাঠামো রয়েছে শীর্ষ স্তরের গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলির গুলির সঙ্গে সেগুলিকে সংযুক্ত করা। এর ফলে সহযোগিতামূলক পরামর্শদানের পরিবেশ তৈরি হয়।
সম্প্রতি এই প্রকল্পে যুক্ত করা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির তালিকা প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। তাতে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম থাকলেও পশ্চিমবঙ্গের কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম তালিকায় নেই। সেই তালিকা নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে কেন্দ্র সরকারকে বিঁধেছেন ব্রাত্য বসু। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
এক্স পোস্টে ব্রাত্য লিখেছেন, ‘পেয়ার প্রকল্পের যোগ্যতার মানদণ্ড অনুসারে আমাদের রাজ্যের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় হাব অ্যান্ড স্পোক ইনস্টিটিউশন হওয়ার যোগ্য। তবুও তাদের কোনওটিকেই হাব অ্যান্ড স্পোক ইনস্টিটিউশন হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। পশ্চিমবঙ্গের প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের এই বৈষম্যমূলক মনোভাবের আমরা তীব্র নিন্দা জানাই।’
শিক্ষা মহলের বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, গবেষণার কাজকে আরও উন্নত এবং বিকশিত করতে রাজ্য ও কেন্দ্র উভয়ের সমন্বয় থাকাটা জরুরি। বিশেষ করে শিক্ষার কর্মসূচিতে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে অবহেলা করা হলে সেটা উন্নয়নে বাধা তৈরি করে। এ বিষয়ে এখনও কেন্দ্রের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।