বাবা, মা, দুই ভাই ও দুই পুত্রবধূ নিয়ে সংসার। কিন্তু প্রথম থেকেই ছোট ভাইয়ের উপর সংসারের দায়দায়িত্ব বেশি ছিল। বাড়ি, ফ্ল্যাট করা থেকে সংসারের নিত্য প্রয়োজনীয় খুঁটিনাটি নানা বিষয়ে বিতানই ছিল গোটা পরিবারের ভরসা। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার সঙ্গে কথা বলতে বলতে বিতানের মামা শঙ্কর চক্রবর্তী বললেন, ‘পরিবারের সকলেরই খেয়াল রাখত বিতান। দাদা বাড়ি করবে বলে ৫০ লাখ টাকা পাঠিয়েছিল বিতান। বিতানের মা-বাবাও ছোট ছেলের উপরেই বেশি ভরসা করতেন। শেষমেশ সেই ছেলের কপালেই এই লেখা ছিল!’
আরও পড়ুন - Pahalgam Terror Attack: ‘মোদী কা আদমি?’ শুনেই গুলি! বাবার জন্মদিনের প্ল্যানিং বাকি রয়ে গেল মেয়ের
দফায় দফায় টাকা পাঠিয়েছে
বিতানের ভগ্নিপতি শ্রীবাস চক্রবর্তী এই প্রসঙ্গে বললেন, ‘বিতান ছোট থেকেই পড়াশোনায় খুব মেধাবী ছিল। সংসারে অশান্তির জেরে ও ওর বাবা-মা আর স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে আলাদা একটা ফ্ল্যাটে থাকার ব্যবস্থা করেছিল। আবার তেমনই অন্য দিকে বাড়ি করার জন্য দাদাকে দফায় দফায় টাকা পাঠিয়েছিল।’
আরও পড়ুন - Pahalgam Terror Attack: কাশ্মীর যাওয়ার সখ ছিল বহু দিনের, ভূস্বর্গে রক্ত দিয়েই চিরনিদ্রায় কলকাতার বিতান
‘কথা ছিল…’
বিতানের স্ত্রী সোহিনী ও সাড়ে তিন বছরের ছেলের সঙ্গে এর মধ্যেই কথা হয়েছে শঙ্কর ও শ্রীবাবুর। বিতানের মামা শঙ্কর চক্রবর্তীর কথায়, ‘এবারে ওদের সপরিবারে বিদেশ চলে যাওয়ার কথা ছিল। ভিসা, পাসপোর্ট আগেই হয়ে যেত। কিন্তু কিছু সমস্যার কারণে সেসব আটকে যায়। এবার বিতান এসে সব ঠিক করেছিল। যাওয়া ফাইনাল হয়ে গিয়েছিল। ঠিক করেছিল, যাওয়ার আগে কাশ্মীরটা ঘুরে আসবে। সেই ঘুরতে যাওয়াই যে কাল হবে, তা কে জানত।’