স্কুল পালিয়ে মাঠে গিয়ে ক্রিকেটে মেতে ওঠা ছাত্র উপমহাদেশের প্রতিটি গ্রাম-শহরেই খুঁজে পাওয়া যাবে। স্কুল-কলেজ কামাই করে স্টেডিয়ামে গিয়ে খেলা দেখা ছাত্র-ছাত্রীও বিরল নয়। এমনকি অফিস কামাই করে স্টেডিয়ামে গিয়ে খেলা দেখা কর্মীও দেখা যায় হামেশাই। তবে পাকিস্তান সুপার লিগের আসরে এবার যে ছবি দেখা যায়, তেমনটা নিতান্ত বিরল সন্দেহ নেই।
আসলে এবার ছাত্র-ছত্রীরা নয়, স্টেডিয়ামে পরীক্ষার খাতা-পত্র নিয়ে হাজির এক শিক্ষিকা। রাতের ম্যাচ, তাই স্কুল থেকে মাঠে চলে এসেছেন, এমনটা নয় মোটেও। স্টেডিয়ামে বসেই ব্যাগ থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষার উত্তরপত্র বার করে তা চেক করতে দেখা যায় এক শিক্ষিকাকে।
গত সোমবার (২১ এপ্রিল) করাচিতে পেশোয়ার জালমি বনাম করাচি কিং ম্যাচের মাঝে বিষয়টি ক্যামেরাবন্দি হয়ে যায়। সকলের নজরে পড়ে যাওয়ায় সংশ্লিষ্ট শিক্ষিকাকে রীতিমতো বিব্রত দেখায়। তিনি হাসতে হাসতে খাতা গুছিয়ে নেওয়ার উপক্রম করেন। যদিও কোন বিষয়ের উত্তরপত্র পরীক্ষা করছেন বা কত নম্বর দিলেন, সেই বিষয়ে কিছু জানার উপায় ছিল না।
করাচি কংস বনাম পেশোয়ার জালমি ম্যাচের ফলাফল
করাচির সেই ম্যাচে করাচি কিংস ৩ বল বাকি থাকতে ২ উইকেটের সংক্ষিপ্ত ব্যবধানে জয় তুলে নেয়। শুরুতে ব্যাট করে পেশোয়ার জালমি নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১৪৭ রান সংগ্রহ করে। ৪১ বলে ৪৬ রানের ধীর ইনিংস খেলেন ক্যাপ্টেন বাবর আজম। তিনি ৭টি চার মারেন।
২১ বলে ২৮ রান করেন মহম্মদ হ্যারিস। তিনি ৪টি চার মারেন। ১৩ বলে ২৪ রান করে অপরাজিত থাকেন আলজারি জোসেফ। তিনি ২টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। হুসেন তালাত ৩টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৬ বলে ১৮ রান করেন। বাকিরা কেউ দুই অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি।
করাচি কিংসের হয়ে ২০ রানে ৩ উইকেট নেন খুশদিল শাহ। ৩০ রানে ৩ উইকেট নেন আব্বাস আফ্রিদি। এছাড়া ১টি করে উইকেট নেন মীর হামজা ও আমের জামাল।
পালটা ব্যাট করতে নেমে করাচি কিংস ১৯.৩ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১৪৮ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। ৪৭ বলে ৬০ রান করেন ক্যাপ্টেন ডেভিড ওয়ার্নার। তিনি ৮টি চার মারেন। ১৭ বলে ২৩ রান করে অপরাজিত থাকেন খুশদিল শাহ। লিউক উড পেশোয়ারের হয়ে ২৮ রানে ৩ উইকেট দখল করেন। ম্যাচের সেরা হন খুশদিল।