সিরিজের শুরুর দিকে পরিচিত ছন্দে ছিলেন না রোহিত শর্মা। চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছিল রোহিত অবসর নিচ্ছেন না কেন, সেই বিষয়ে। তবে চেন্নাই সুপার কিংস ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে পরপর ২টি ম্যাচে হাফ-সেঞ্চুরি করে রোহিত আপাতত সব সমালোচনার জবাব দিলেন। তিনি ২০১৬ সালের পরে ফের আইপিএলে পরপর ২টি ম্যাচে হাফ-সেঞ্চুরি করেন।
বুধবার উপ্পলে ট্রেন্ট বোল্ট-দীপক চাহারদের বোলিং এবং রোহিত শর্মার অনবদ্য ব্যাটিংয়ে ভর করে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে একতরফাভাবে পরাজিত করে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। সেই সুবাদে আইপিএল ২০২৫-এর পয়েন্ট তালিকায় বড়সড় লাফ দেয় এমআই।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে এই ম্যাচে অনবদ্য হাফ-সেঞ্চুরি করার পথে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মিলিয়ে টি-২০ কেরিয়ারে ১২ হাজার রানের মাইলস্টোন টপকে যান রোহিত শর্মা। বিরাট কোহলির পরে ভারতের দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে এমন দুরন্ত নজির গড়েন হিটম্যান।
বুধবার উপ্পলে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। তারা শুরুতেই পরপর উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায়। শেষে এনরিখ ক্লাসেনের হাফ-সেঞ্চুরিতে ভর করে হায়দরাবাদ নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১৪৩ রান সংগ্রহ করে। ক্লাসেন ৯টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৪৪ বলে ৭১ রান করে সাজঘরে ফেরেন। ৩৭ বলে ৪৩ রান করেন অভিনব মনোহর। তিনি ২টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন।
দাপুটে বোলিং ট্রেন্ট বোল্টের
মুম্বইয়ের হয়ে ৪ ওভারে ২৬ রান খরচ করে ৪টি উইকেট দখল করেন ট্রেন্ট বোল্ট। ৪ ওভারে ১২ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন দীপক চাহার। জসপ্রীত বুমরাহ ৪ ওভারে ৩৯ রান খরচ করে ১টি উইকেট নেন। তিনি টি-২০ কেরিয়ারে ৩০০ উইকেটের মাইলস্টোন ছুঁয়ে ফেলেন।
ঝোড়ো হাফ-সেঞ্চুরি রোহিত শর্মার
পালটা ব্যাট করতে নেমে মুম্বই ১৫.৪ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ১৪৬ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অর্থাৎ, ২৬ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে ম্যাচ জেতে মুম্বই। রোহিত শর্মা ৪৬ বলে ৭০ রানের দাপুটে ইনিংস খেলেন। তিনি ৮টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। ১৯ বলে ৪০ রান করে অপরাজিত থাকেন সূর্যকুমার যাদব। তিনি ৫টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। হায়দরাবাদের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন জয়দেব উনাদকাট, ইশান মালিঙ্গা ও জীশান আনসারি।
এই জয়ের সুবাদে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ৯ ম্যাচে ৫টি জয়-সহ ১০ পয়েন্ট সংগ্রহ করে। তারা ছয় থেকে একলাফে লিগ টেবিলের তিন নম্বরে পৌঁছে যায়। ৮ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে এক নম্বরে রয়েছে গুজরাট টাইটানস। দ্বিতীয় স্থানে থাকা দিল্লি ক্যাপিটালসের দখলেও রয়েছে ৮ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট।