হাইওয়ের দশা বেহাল হলে টোল বেশি হবে কেন? ৮০% ট্যাক্স কমানোর নির্দেশ হাইকোর্ট

বিভিন্ন জায়গায় জাতীয় সড়কের অবস্থা খারাপ থাকার অভিযোগ নতুন নয়। তার ওপর দিয়েই চলছে ঝুঁকির যাত্রা। অথচ দিব্যি টোলট্যাক্স আদায় করা হচ্ছে। এবার এ নিয়ে জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখ হাইকোর্টের একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ সামনে এসেছে। হাইকোর্ট বলেছে, রাস্তার অবস্থা খারাপ হলে তার উপর টোল ট্যাক্স আদায় করা উচিত নয়। এই অবস্থায় জাতীয় সড়কে টোল ট্যাক্স ৮০ শতাংশ পর্যন্ত কমানোর নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।আরও পড়ুন: ন্যাশানাল হাইওয়েতে বার্ষিক ও ‘লাইফটাইম’ ১৫ বছরের জন্য টোল পাস চালুর পথে কেন্দ্র! কত হতে পারে দাম?মামলার বয়ান অনুযায়ী, সুগন্ধা সাহনি নামে এক মহিলা একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন। তাঁর আবেদনের ভিত্তিতে এই নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। তিনি ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাঠানকোট-উধমপুর হাইওয়ের অংশে রাস্তা খারাপ থাকার অভিযোগ তোলেন। এই আবেদনে তিনি লক্ষ্মণপুর, থান্ডি খুই এবং বান প্লাজা থেকে টোল আদায়ের উপর আপত্তি জানান। তিনি বলেন, এই এলাকার রাস্তাঘাটের অবস্থা খুবই খারাপ। তারপরেও এই অংশ দিয়ে যাতায়াতের সময় চালকদের কাছ থেকে বেশি পরিমাণে টোল ফি আদায় করা হচ্ছে। কেন তা করা হবে? তাই নিয়ে মামলাকারী প্রশ্ন তোলেন। তিনি দাবি করেন, ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে ওই অংশে জাতীয় সড়কের ৬০ শতাংশ নির্মাণ হয়েছে। তাহলে পুরো টোল আদায়ের কোনও মানেই হয় না। মামলায় মহিলা দাবি করেন, কাজ শেষ হওয়ার ৪৫ দিন পর থেকে টোল আদায় শুরু করা উচিত। প্রধান বিচারপতি তাশি রাবস্তান এবং বিচারপতি এম এ চৌধুরীর বেঞ্চ বলেছে, যদি রাস্তায় নির্মাণকাজ চলে এবং তার অবস্থা ভালো না হয়, তাহলে তার জন্য টোল আদায় করা উচিত নয়। বেঞ্চ বলেছে যে ভালো রাস্তার জন্য টোল নেওয়া হয়। তারপরেও যদি রাস্তায় সমস্যা থাকে তাহলে টোল নেওয়ার কোনও মানে হয় না। এরপরেই বেঞ্চ বলে, ওই অংশে মাত্র ২০ শতাংশ টোল ট্যাক্স নেওয়া উচিত। এই এলাকায় অবস্থিত লক্ষ্মণপুর এবং বান প্লাজা থেকে টোল আদায় আপাতত ৮০ শতাংশ কমাতে বলেছে হাইকোর্ট। এই নির্দেশ অবিলম্বে কার্যকর করতে বলা হয়েছে এবং রাস্তা তৈরি সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত টোল ফি আর বাড়ানো যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে হাইকোর্ট। শুধু তাই নয়, আদালত আরও বলেছে যে এই জাতীয় সড়কের ৬০ কিলোমিটারের মধ্যে অন্য কোনও টোলপ্লাজা তৈরি করা যাবে না। যদি টোলপ্লাজা তৈরি করা হয়ে থাকে, তাহলে এক মাসের মধ্যে তা ভেঙে ফেলতে হবে অথবা সরাতে হবে। আদালত আরও বলেছে যে, জনসাধারণের কাছ থেকে অর্থ আয় করার জন্য জম্মু ও কাশ্মীর বা লাদাখে টোলপ্লাজা তৈরি করা উচিত নয়। মানুষ যদি জাতীয় সড়কে যাতায়াত করতে অসুবিধার সম্মুখীন হন, তবে সেখানে টোল আদায়ের কোনও অর্থ নেই।