এনএসজি-র ‘ব্ল্যাক ক্যাট’ কমান্ডো হওয়া সত্ত্বেও স্ত্রীকে হত্যার মামলায় কোনও রকম ছাড় দিল না সুপ্রিম কোর্ট। পণের জন্য স্ত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত ওই কমান্ডো। তাঁর জামিনের আবেদনের শুনানিতে শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে, 'অপারেশন সিঁদুরে অংশগ্রহণ আপনাকে আইনি দায় থেকে মুক্তি দিতে পারে না।' (আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে হিন্দু বৃদ্ধ ও ছেলেকে গণপিটুনি, বাংলাদেশি পুলিশ অফিসারের কথায় বিতর্ক)
আরও পড়ুন: অভিনন্দন বর্তমানকে আটক করা পাক সেনা অফিসারের মৃত্যু ওয়াজিরিস্তানে
সুপ্রিম কোর্টে একটি স্পেশাল লিভ পিটিশনের শুনানিতে অভিযুক্ত কমান্ডোর আইনজীবী জানান, 'তাঁর মক্কেল জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনী এনএসজির সদস্য এবং অপারেশন সিঁদুর-এ অংশ নিয়েছিলেন।' কিন্তু বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়া স্পষ্ট জানিয়ে দেন, 'এটা আপনার দায়মুক্তির কোনও কারণ হতে পারে না। ...অভিযোগ অনুযায়ী, যে নৃশংস ভাবে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে, তা কোনওভাবেই ছাড়যোগ্য নয়। অব্যাহতি সেই মামলাগুলির জন্য হয় যেখানে ছয় মাস, তিন মাস বা এক বছরের সাজা রয়েছে।' এই মামলায় অভিযুক্ত কমান্ডোর বিরুদ্ধে ৩০৪বি ধারা অনুযায়ী মামলা দায়ের হয়েছে, যা পণ-সংক্রান্ত মৃত্যুর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কমান্ডোর আইনজীবী দাবি করেন, আসল অভিযোগ একটিই পণ হিসেবে একটি বাইকের দাবি। এবং সেই অভিযোগ উঠেছে নিহত স্ত্রীর আত্মীয় দুই সাক্ষীর কাছ থেকে, যাঁদের বক্তব্যে বহু অসামঞ্জস্য রয়েছে বলে দাবি তাঁর। (আরও পড়ুন: ইরানে ফেল আমেরিকা? 'গোয়েন্দা রিপোর্টে' নাক কাটতেই বিস্ফোরক ট্রাম্প)
আরও পড়ুন-'গণতন্ত্রকে আটকে রেখেছিল!' জরুরি অবস্থার ৫০ বছরে কংগ্রেসকে তুলোধোনা প্রধানমন্ত্রী মোদীর
তবুও বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়া এবং বিচারপতি বিনোদ চন্দ্রন-র বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট আগেই এই আবেদনে অভিযুক্তকে রেহাই দেয়নি এবং এই প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টও আত্মসমর্পণের ক্ষেত্রে ছাড় দিতে নারাজ। আদালত জানায়, 'আমরা আত্মসমর্পণ থেকে ছাড়ের আবেদন প্রত্যাখ্যান করছি। তবে বিশেষ অনুমতি পিটিশনের প্রেক্ষিতে প্রসিকিউশনের কাছে ছ'সপ্তাহের মধ্যে জবাবদিহি চাওয়া হল।' পাশাপাশি অভিযুক্ত কমান্ডোর আইনজীবী সময় চাওয়ায় সুপ্রিম কোর্ট আত্মসমর্পণের জন্য দু'সপ্তাহ সময় দেয়। (আরও পড়ুন: ইরানে 'গায়েব' ৪০০ কেজি ইউরেনিয়াম, ১০টি পরমাণু বোমা বানানো সম্ভব তা দিয়ে)
খবর অনুসারে, ২০০৪ সালে অমৃতসরের একটি আদালত বলজিন্দর সিংকে তার স্ত্রীর মৃত্যুর জন্য ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪বি ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে। তার শ্যালক, যিনি মামলার একজন সাক্ষী, তিনি বলেন, বলজিন্দর এবং তাঁর বাবা চুন্নি (শিখদের একটি ঐতিহ্যবাহী মাথার স্কার্ফ) দিয়ে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছিলেন। এতে সাহায্য করেছিলেন বলজিন্দরের মা এবং বোনেরা।