দু-চাকা ও চার-চাকার ভোক্তারা সাশ্রয়ের জন্য সাধারণ পেট্রোলের জায়গায় ইথানল মিশ্রিত পেট্রোল ব্যবহার করছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি ইথানল মিশ্রিত পেট্রোল নিয়ে বিশেষ করে ই২০ ২০% ইথানল মিশ্রিত পেট্রোল নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। অনেকেই দাবি করছেন, ই২০ পেট্রোল ব্যবহারে গাড়ির মাইলেজ কমে যাওয়া, জ্বালানি ট্যাঙ্ক এবং ইঞ্জিনের ক্ষতি হতে পারে। এবার এই ধরণের অভিযোগকে কার্যত ভিত্তিহীন বলে খারিজ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। (আরও পড়ুন: ট্রাম্পের শুল্ক হুমকির আবহে বাংলাদেশ নিয়ে আমেরিকাকে 'তোপ' ভারতীয় সেনার!)
আরও পড়ুন: আমেরিকায় বিক্রি হওয়া বেশিরভাগ আইফোনই 'মেড ইন ইন্ডিয়া', জানালেন টিম কুক নিজেই
পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই ধরনের অভিযোগ বিজ্ঞান সম্মত নয়, এবং ফুয়েল এফিসিয়েন্সি বা জ্বালানি দক্ষতার উপর যদি প্রভাব পড়ে তা সামান্য।সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টে কেন্দ্র জানিয়েছে, যে সব গাড়ি মূলত ই১০ পেট্রোলের জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল কিন্তু পরে ই২০-এর জন্য ক্যালিব্রেটেড করা হয়েছে, সেগুলিতে মাইলেজ মাত্র ১-২ শতাংশ কমতে পারে। অন্যান্য যানবাহনের ক্ষেত্রে মাইলেজ হ্রাস হয়ে প্রায় ৩-৬ শতাংশ হতে পারে।তবে আরও ভালো ইঞ্জিন টিউনিং এবং ই২০ সামঞ্জস্যপূর্ণ যন্ত্রাংশের ব্যবহার এই পতন হ্রাস করতে পারে। ভারতের গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির সংগঠন সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ান অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার্স (সিয়াম) জানিয়েছে, আপগ্রেড যন্ত্রাংশ-সহ ই২০ পেট্রোল সামঞ্জস্যপূর্ণ গাড়ি ২০২৩ সালের এপ্রিল মাস থেকে থেকে পাওয়া যাচ্ছে। ইথানল ব্যবহারের সুবিধা হল আধুনিক যানবাহনে ইঞ্জিনের কর্মক্ষমতা এবং যাত্রার মান উন্নত করা। (আরও পড়ুন: যুদ্ধে রাশিয়ার ব্যবহৃত ড্রোনে ভারতীয় যন্ত্রাংশ, অভিযোগ ইউক্রেনের)
আরও পড়ুন: লালকেল্লায় ঢোকার চেষ্টা, দিল্লিতে গ্রেফতার ৫ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী
ইথানল উৎপাদনের উপাদান
জাতীয় জৈব জ্বালানি নীতি অনুযায়ী, জাতীয় জৈব জ্বালানি সমন্বয় কমিটি ঘোষিত উদ্বৃত্ত পর্যায়ে খাদ্যশস্য ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়। এই নীতি ভুট্টা, কাসাভা, পচা আলু, ভাঙা চালের মতো ক্ষতিগ্রস্ত খাদ্যশস্য, মানুষের খাওয়ার অনুপযুক্ত শস্য, ভুট্টা, আখের রস, গুড় এবং কৃষি অবশিষ্টাংশ (চালের খড়, তুলোর ডাঁটা, ভুট্টার খোসা, করাত, বাগাস ইত্যাদি) ব্যবহারকে উৎসাহিত করে।ইথানল উৎপাদনে প্রতিটি উপাদানের ব্যবহার বছর ভিত্তিক পরিবর্তিত হয়, যা প্রাপ্যতা, খরচ, অর্থনৈতিক সম্ভাবনা, বাজারের চাহিদা এবং নীতিগত প্রণোদনার উপর নির্ভর করে। আখের রস, এর উপজাত বা ভুট্টা ইথানল উৎপাদনে ব্যবহারের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে পরামর্শ করে সতর্কতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গত কয়েক বছরে ইথানল উৎপাদন ব্যাপক হারে বেড়েছে। বিনিয়োগ এসেছে। পেট্রোল চালিত যানবাহনে খুব সহজেই ১০ শতাংশ ইথানল মিশ্রণ ব্যবহার করা যায়। কিন্তু ২০ শতাংশ ইথানল মিশ্রিত জ্বালানি ব্যবহারের জন্য সামান্য পরিবর্তনের প্রয়োজন হয়।প্রসঙ্গত, প্রথমে ২০৩০ সালের মধ্যে ২০ শতাংশ ইথানল মিশ্রিত পেট্রোল বিক্রির লক্ষ্য নিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। পরবর্তীতে তা ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে এগিয়ে আনা হয়।