বঙ্গ–বিজেপির রাজ্য সভাপতির চেয়ারে কে বসবেন? এই প্রশ্ন এখন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। কারণ সুকান্ত মজুমদারের মেয়াদ শেষ। এখন বাড়তি দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। যেহেতু রাজ্য সভাপতি পদে কাউকে আনা হয়নি। এই মধ্যবর্তী আবহে নিজের ঘনিষ্ঠ কাউকে বসাতে চেষ্টা করছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলে সূত্রের খবর। আর তাই বুধবার দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে প্রচারের ফাঁকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করলেন। আর তাঁদের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ কথা হয়। অমিত শাহের বাসভবনে দু’জনের বৈঠক হয়। সেখানে বাংলাদেশ ইস্যু, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা এবং রাজ্য সভাপতি পদ নিয়েও বিস্তর কথা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
এদিকে সুকান্ত মজুমদারের পর রাজ্য সভাপতি কে হবেন সেটা নিয়ে গুঞ্জনের মধ্যেই শুভেন্দু অধিকারীর এই সাক্ষাৎ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এরপর যিনি রাজ্য সভাপতি হবেন তাঁর নেতৃত্বেই ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বিজেপি। তাই নিজের ঘনিষ্ঠ হলে কাজ করতে সুবিধা হবে শুভেন্দুর। সুকান্ত মজুমদার থাকতে নানা অসুবিধা হচ্ছিল। তারপর শুভেন্দু–সুকান্তর মধ্যেকার বিরোধ প্রকাশ্যে চলে এসেছে। একে অন্যকে মেনে নিতে পারছেন না। এই আবহে অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক বিজেপি নেতাদের অনেককেই ভাবিয়ে তুলেছে।
আরও পড়ুন: তৃণমূল কংগ্রেস নেতার দেহ পড়ে বহরমপুরের গলিতে, খুন নাকি আত্মহত্যা? তদন্তে পুলিশ
অন্যদিকে বাংলার নানা জায়গা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। জঙ্গি ধরা পড়েছে। এই রাজ্যেই খুন, ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটেছে। তাই সার্বিক রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কথা বলেছেন শুভেন্দু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বলে সূত্রের খবর। বুধবার এইসব বিষয় নিয়েই শাহী দরবারে যান শুভেন্দু অধিকারী। তবে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ নিয়েও তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়। যেহেতু বাংলাদেশের সীমান্ত বাংলায় আছে, সেখান দিয়ে অনুপ্রবেশ ঘটছে বলে শুভেন্দু অধিকারীর দাবি। তাই প্রতিবেশী দেশ যাতে এই রাজ্যে প্রভাব ফেলতে না পারে তার জন্যও কথা বলেছেন বলে সূত্রের খবর। বাংলায় যে কোনও স্থায়ী গোয়েন্দা প্রধান নেই সেটাও শাহকে জানিয়েছেন শুভেন্দু।
এছাড়া রাজধানীতে পৌঁছেছেন শুভেন্দু অধিকারীর পাশাপাশি সুকান্ত মজুমদার, জ্যোর্তিময় সিং মাহাতো, রথীন বোস। এবার সুকান্ত মজুমদারও পৃথক বৈঠক করতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বলে সূত্রের খবর। শুভেন্দু অধিকারী রাজ্য বিজেপির সভাপতি হিসাবে অমিত শাহের কাছে নিজের পছন্দের তিনজনের নাম দেন। তার মধ্যে একজনের নাম রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য বলে সূত্রের খবর। এই বৈঠকে সদস্য সংগ্রহ অভিযানে কেন সাফল্য পাওয়া গেল না? প্রশ্ন করেন অমিত শাহ। জবাবে শুভেন্দু অধিকারী দলের মণ্ডল এবং জেলাস্তরে নেতাদের নিষ্ক্রিয়তাকে দায়ী করেছেন বলে সূত্রের খবর।