প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহে বিলম্ব! বিতর্কে বায়ুসেনা প্রধানকে সমর্থন পূর্বসূরির

'প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহে নির্ধারিত সময়সীমা মানা হচ্ছে না।' এমনই অভিযোগ তুলেছিলেন বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল অমরপ্রীত সিং। আর তাঁর বক্তব্যকে সমর্থন করলেন পূর্বসূরি প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল ভিআর চৌধুরী। এনডিটিভি-কে তিনি বলেন, যেহেতু জাতীয় নিরাপত্তার দিক থেকে শক্তি হ্রাস বড় সমস্যা, তাই সময়মতো বিন পূরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।বৃহস্পতিবার দিল্লিতে কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি সম্মেলনে বক্তৃতা দিয়েছেন এয়ার চিফ মার্শাল। সেখানে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ ভারতের সাফল্য এবং প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দেশের আত্মনির্ভরশীল হয়ে ওঠার কথা বর্ণনার পাশাপাশি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। (আরও পড়ুন: 'সুনামি তুলতে পারে ভারতীয় নৌসেনা', মাসুদ-হাফিজদের চেয়ে পাককে হুঁশিয়ারি রাজনাথের)আরও পড়ুন: মুসলিম দেশে বসে ৩৭০ ধারা বাতিলের প্রশংসায় কংগ্রেসের সলমন খুরশিদ!এই আবহে এনডিটিভি-কে সাক্ষাৎকারে প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধান বলেন, 'এটির জন্য অনেক পরিকল্পনা প্রয়োজন। যাদেরকে আপনি অর্ডার দেন তাদের কাছ থেকে প্রচুর আশ্বাস আসে যে তারা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ করবে। যদি তারা কাজ শেষ করতে ব্যর্থ হয়, অথবা তারা যদি কয়েক বছর আগে আমাদের বলে যে আমরা সময়সীমা পূরণ করতে পারব না, তাহলে হয়তো বিকল্প পথ খুঁজে পাওয়া সম্ভব।' তাঁর কথায়, কেবল সময়মতো সরবরাহ করাই যথেষ্ট নয়, বরং বর্ধিত সক্ষমতাও প্রয়োজন। ভিআর চৌধুরী বলেন, 'সঠিক সময়ে সংখ্যায় উৎপাদন করার ক্ষমতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর পাশাপাশি, অতিরিক্ত উৎপাদন করার ক্ষমতা থাকা দরকার।'আরও পড়ুন-'চুক্তির সময়ই জানি যে সময়মতো পাব না', প্রতিরক্ষা প্রকল্প নিয়ে বিস্ফোরক বায়ুসেনা প্রধানউদাহরণস্বরূপ তিনি বলেন, ধরা যাক আমার খুব বেশি সংখ্যক ড্রোনের প্রয়োজন। কেউ যদি আমাকে মাসে ২০টি বা বছরে ৫০টি ড্রোন দেয় তবে তা যথেষ্ট নয়। আমাদের প্রচুর পরিমাণে ড্রোনের প্রয়োজন। তাই সক্ষমতা বৃদ্ধি অবশ্যই বাড়ানো উচিত।'তিনি আরও বলেন, 'এটি জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়, তাই বিলম্ব অথবা নিম্নমানের সরঞ্জামের বিষয়গুলিকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। সময়মত এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যায় ডেলিভারি হওয়া উচিত।'আরও পড়ুন: দেশে নেই ইউনুস, 'অ্যাকশন মোডে' বাংলাদেশ সেনা, আটক হাসনাতদের দলের দামাল নেতাএর আগে বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল অমরপ্রীত সিং বলেন, প্রতিরক্ষা চুক্তিতে এমন প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে, যা পূরণ করা সম্ভব নয়। তিনি প্রশ্ন তোলেন, 'কেন আমরা এমন কিছু প্রতিশ্রুতি দেব, যা অর্জন করা সম্ভব নয়? চুক্তি স্বাক্ষরের সময়ই আমরা কখনও কখনও জানি যে এটি সময়মতো বাস্তবায়িত হবে না, তবুও আমরা চুক্তি স্বাক্ষর করি। এতে পুরো প্রক্রিয়াটি বিকৃত হয়।'এই প্রসঙ্গে তিনি হতাশা প্রকাশ করে উল্লেখ করেন, তেজস এমকে১এ যুদ্ধবিমান সরবরাহে বিলম্বের কথা। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (হ্যাল)-এর সঙ্গে ৪৮ হাজার কোটি টাকার চুক্তি হয়েছিল সরকারের। চুক্তি অনুসারে ৮৩টি যুদ্ধবিমান দেওয়ার কথা ছিল ওই সংস্থার। প্রাথমিকভাবে ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে যুদ্ধবিমানগুলি সরবরাহ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এখনও পর্যন্ত একটিও সরবরাহ হয়নি।তিনি এএমসিএ এবং তেজস এমকে২-এর প্রোটোটাইপ তৈরিতেও বিলম্বের সমালোচনা করেন।