বুধবার উটাহের একটি অনুষ্ঠানে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান কনজারভেটিভ মার্কিন নেতা চার্লি কার্ক। এই চার্লি গত সপ্তাহে বলেছিলেন যে আমেরিকায় ভারতীয়দের জন্য আরও ভিসার প্রয়োজন নেই। ৩১ বছর বয়সি এই কনজারভেটিভ পডকাস্টার ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। তিনি ট্রাম্পের 'আমেরিকা ফার্স্ট' নীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন। ট্রাম্পের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনী প্রচারের দিন থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের পক্ষে গলা ফাটিয়ে এসেছিলেন চার্লি।
আরও পড়ুন: গুলি করে খুন ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ চার্লি কার্ককে, দেখুন ঘটনার মুহূর্তের ভাইরাল ভিডিয়ো
এহেন চার্লি মার্কিন মুলুকে ভারতীয়দের অভিবাসন নিয়ে বলেছিলেন, 'ভারত থেকে আসা মানুষের জন্য আমেরিকার আর ভিসার প্রয়োজন নেই। ভারত থেকে আসা মানুষজন আমেরিকান শ্রমিকদের যতটা কর্মহীন করেছে, তেমনটা আর কোনও ধরনের বৈধ অভিবাসন নীতি করতে পারেনি। ইতিমধ্যে যথেষ্ট হয়েছে। এবার অবশেষে আমাদের নিজেদের লোকদের অগ্রাধিকার দিই।' ফক্স নিউজের উপস্থাপকের এক্স পোস্টে চার্লি কার্ক বলেছিলেন, 'নয়াদিল্লির সঙ্গে কোনও বাণিজ্য চুক্তি হলে ভারতীয়দের আরও ভিসা দিতে হবে আমেরিকাকে।'
রক্ষণশীল টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ অ্যাডভোকেসি গ্রুপের পরিচালক কার্ক ইউটাহ ভ্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে খুন হন। তাঁর গলায় গুলি করা হয়েছিল। এই ঘটনার বেশ কয়েকটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকবাজদের হামলার পরপর ঘটনা নিয়ে কার্ককে একজন প্রশ্ন করছেন। প্রশ্নকর্তা কার্কের উদ্দেশে বলেন, 'আপনি কি জানেন যে গত ১০ বছরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কতজন গণ শ্যুটার ছিল?' আর সেই সময়ই গুলি চলে। কার্ক চেয়ার থেকে পড়ে যান এবং সাথে সাথে তাঁর গলা দিয়ে গল গল করে রক্তের স্রোত বইতে শুরু করেছে। তাঁকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এই ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রাম্প লেখেন, 'মহান ও কিংবদন্তি চার্লি কার্ক এখন আর আমাদের মধ্যে নেই। আমেরিকার তারুণ্যের হৃদস্পন্দন তাঁর চেয়ে ভালো আর কেউ বুঝত না। তিনি সবার কাছে প্রিয় ও সম্মানিত ছিলেন, বিশেষ করে আমার কাছে। তিনি এখন আর আমাদের মাঝে নেই।' এদিকে ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন এক সন্দেহভাজনকে হেফাজতে নিয়েছিল। তবে পরে এফবিআই পরিচালক কাশ প্যাটেল একটি আপডেট শেয়ার করে বলেন যে জিজ্ঞাসাবাদের পরে সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে তাদের হেফাজত থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। চার্লি কার্কের হত্যাকাণ্ডের পিছনে সন্দেহভাজন এখনও ধরা পড়েনি। সেই বন্দুকবাজকে শনাক্ত করার জন্য এফবিআই তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।