এই তদন্তের জন্য ৬ সদস্যের দল তৈরি করা হয়েছে। ডেপুটি ডিরেক্টর এম অরুণ প্রসাদের নেতৃত্বে তদন্ত হবে। সঙ্গে থাকছেন প্রসাদ আদেলি, কে প্রভু, এ গোকুলনাথ, কেএমএস নারায়ণ এবং বরুণ বিএস। ৮ মাসের মধ্যে এই তদন্ত শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। এই তদন্ত করতে কোনও বাধা নেই বলে কেন্দ্রীয় সরকার আগে আদালতে জানিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের কন্যা বীণা।
তদন্তের মুখে পড়লেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের কন্যা বীণা। কেন্দ্রীয় সরকার বীণা টি’র সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত করতে ভার তুলে দিল সিরিয়াস ফ্রড ইনভেস্টিগেশন অফিসের (এসএফআইও) হাতে। আর ৮ মাসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। টাকা নিয়েও পরিষেবা প্রদান না করার অভিযোগ উঠেছে মুখ্যমন্ত্রী কন্যার সংস্থার বিরুদ্ধে। তার ভিত্তিতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রক। যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন। বীণার সংস্থা প্রতারণা করেছে বলে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
এদিকে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের মেয়ে বীনা টি’র মালিকানাধীন সংস্থা এক্সালজিক সলিউশন প্রাইভেট লিমিটেডের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কোচিন মিনারেলস অ্যান্ড রুটাইল লিমিটেড (সিএমআরএল) থেকে কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর মেয়ে বীণার মালিকানাধীন কোম্পানি এক্সালজিক সলিউশনে কয়েক কোটি টাকা স্থানান্তরের অভিযোগ রয়েছে। সেটি কাজ করার জন্যই নেওয়া হয়েছিল। যদিও সেই কাজ বীণার সংস্থা না করেই বিপুল পরিমান অর্থ নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর তাই কর্পোরেট আইনের ২১২(১)(এ) এবং সি ধারায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যদিও কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই এমন অভিযোগ তোলা হয়েছে। পাল্টা কেরল সরকারকে নিশানা করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভি মুরলীধরণ বলেছেন, তদন্তে রাজ্যের কমিশন–রাজ প্রকাশ্যে আসবে। মাসে মাসে কমিশন নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর কন্যা। ২০১৭ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে একটি বেসরকারি সংস্থা ও বীণার আইটি ফার্মের মধ্যে ১ কোটি ৭২ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়। কনসালটেন্সি এবং সফটওয়্যার সাপোর্টের জন্য বীণার সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করেছিল কোচিন মিনারেলস অ্যান্ড রুটাইল লিমিটেড নামে সংস্থাটি। কিন্তু পরিষেবা না দিয়েই টাকা নিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর মেয়ের সংস্থা বলে অভিযোগ।
এই তদন্তের জন্য ৬ সদস্যের দল তৈরি করা হয়েছে। ডেপুটি ডিরেক্টর এম অরুণ প্রসাদের নেতৃত্বে তদন্ত হবে। সঙ্গে থাকছেন প্রসাদ আদেলি, কে প্রভু, এ গোকুলনাথ, কেএমএস নারায়ণ এবং বরুণ বিএস। ৮ মাসের মধ্যে এই প্রতারণার তদন্ত শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর এই তদন্ত করতে কোনও বাধা নেই বলে কেন্দ্রীয় সরকার আগেই আদালতে জানিয়েছে। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য একে বালান বলেন, ‘এটা একটা ষড়যন্ত্র। যা করে একটি পরিবারকে এবং ব্যক্তিকে কালিমালিপ্ত করা যায়। আমরা জানি এই ষড়যন্ত্রের পিছনে কিছু শক্তি আছে। মানুষের কাছে পরিষ্কার যে, কারা এই শক্তি।’